বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের প্রয়োজনে ও মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার স্বার্থে আমরা নির্বাচনে যাবো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি, কারও কোনও ক্ষমতা নেই বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার। কারণ, সামনের যে নির্বাচন এটা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হবে না। এই নির্বাচন হবে গণনির্বাচন।
শনিবার সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হলে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলন আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেছেন,‘দেশের চলমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসার দুটো পথ আছে। একটি নির্বাচন, অন্যটি হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান। আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবুও নির্বাচনে আমরা যাবোই।’
খালেদা জিয়া দেশে ফেরার সময় তাকে গণঅভ্যর্থনা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ এখন বন্ধুহীন একটি দেশ। বাংলাদেশের কোনও বন্ধু নাই। ভারত ও এখন মিয়ানমারকে সমর্থন করছে। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে শেখ হাসিনার পদত্যাগই একমাত্র সমাধান বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি দাবি করেন, ‘শেখ হাসিনা পদত্যাগ করা মাত্রই দেশে রোহিঙ্গা সংকট ও লুটপাটের সমাধান হবে, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।’
সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম প্রমুখ।
সূত্র: শীর্ষনিউজ
Discussion about this post