বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আওয়ামী লীগ যে ১১ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে তা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয়। কিভাবে নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিভাবে ভোটের ফল পাল্টে দেওয়া যায় সেই কৌশল আছে ওইসব প্রস্তাবনায়। যা সম্পূর্ণরূপে জনমতের বিপরীত। সবাই চায় সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সেনাবাহিনী মোতায়েন। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় সেনাবাহিনী ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে থাকুক। সেই কারণে তারা সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে চায় না।’
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, ‘বিগত আওয়ামী শাসনামলে অনেক দলীয় ক্যাডারকে লাইসেন্সে ও বিনা লাইসেন্সে অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। এখন ভোটগ্রহণের দিন আওয়ামী লীগের অনুকূলে সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যালট বাক্স ভর্তি করতে সেই অস্ত্রগুলোই ব্যবহার হবে। সুতরাং সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা না দিলে ভোট-সন্ত্রাস রোধ করা যাবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীই সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে প্রধান বাধা। জনগণের দাবি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার। এর বিরোধিতা করে ক্ষমতাসীন দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জনগণের কাছে শুভবার্তা দেয়নি। যাই হোক, আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাদের দাবি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছে, এটি আওয়ামী লীগের বিষয়। এখন নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক, প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। জনগণ চায়, নির্বাচন কমিশন যেন আওয়ামী লীগের হাতে বন্দি হয়ে না পড়ে। তারা যেন তাদের সাংবিধানিক স্বায়ত্ত্বশাসন প্রয়োগ করে সহায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফেরার আগে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালিয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
Discussion about this post