যুক্তরাজ্য থেকে তিন মাসের বেশি সময় পর দেশে ফিরেই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁকে একনজর দেখতে আজ বুধবার বিকেল থেকে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের পূর্ব পাশে ভিড় জমান নেতাকর্মীরা। শুরুতে রাস্তার পূর্ব পাশের ফুটপাতে থাকলেও খালেদা জিয়ার গাড়িবহর দেখে রাস্তায় নেমে পড়েন তাঁরা। নেতাকর্মীদের এই জনস্রোত ঠেলে প্রায় দুই ঘণ্টা ১০ মিনিট পর গুলশানের বাসভবনে পৌঁছাতে পারেন খালেদা জিয়া।
আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বের হয় পৌনে ৬টার দিকে। এ সময় কুড়িল বিশ্বরোড, শ্যাওড়া, হোটেল র্যাডিসনের মোড়, বনানী কবরস্থান থেকে শুরু করে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসা পর্যন্ত সড়কের এক পাশে নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়। তাঁরা হাত নেড়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন। খালেদা জিয়াও হাত নেড়ে তাঁদের শুভেচ্ছা জানান।
কিন্তু নেতাকর্মীদের ভিড়ের কারণে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বেশ ধীরে ধীরে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর খিলক্ষেতে অবস্থান করছিল। ওই স্থান অতিক্রম করার ১৫ মিনিট পর ৭টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবনে পৌঁছান খালেদা জিয়া।
এদিকে বিকেলের দিকেও গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে তেমন জনসমাগম ছিল না। তখন অনেকে মনে করেছিলেন বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়ার বের হতে দেরি হতে পারে। কিন্তু গণমাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যমে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবর পাওয়া মাত্র সন্ধ্যার পর থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভিড় বাড়তে থাকে। তাঁরা খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এদিকে গাড়ি থেকে নেমে দলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এ কথা জানিয়েছেন।
এদিকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষে বিমানবন্দরে যে জনস্রোত, এটাই প্রমাণ করে তিনি জনপ্রিয় নেত্রী।’
সূত্র: এনটিভি অনলাইন
Discussion about this post