লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগকালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে খালেদা জিয়া বলেছেন, গ্রেপ্তারে আমি ভয় পাইনা, ‘সরকারের সাহস থাকলে গ্রেপ্তার করুক আর হাসিনার অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, সামনে কঠিন সময়। দুর্বার আন্দলনের জন্য প্রস্তুত থাকুন’। মঙ্গলবার লন্ডন সময় রাত আটটায় এমিরেটস এর একটি বিমানে দেশের উদ্দেশ্যে লন্ডন ছাড়েন বেগম জিয়া। বিমান বন্দরে তাকে বিদায় জানাতে আসেন তার বড় ছেলে তারেক জিয়া ও তার পরিবার এবং স্থানীয় কয়েকজন নেতৃবৃন্দ। বেগম জিয়া আজ বাংলাদেশ সময় সকাল আটটার নাগাদ দুবাই পৌঁছেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
হিথ্রো বিমানবন্দরে তিনি লন্ডন বিএনপির নেতৃবৃন্দকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। কর্মীদের তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘সরকারের সময় বেশি দিন নেই, খুব শীঘ্রই সরকারের পতন হবে। এজন্যই সরকার এমন আচরন করছে।’ তারপর ছেলের সাথে অশ্রুশিক্ত আলিঙ্গন করেন করেন বেগম জিয়া। তিন মাস পর আজ সন্ধ্যায় বেগম জিয়া দেশে ফিরছেন।
লন্ডন মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক মাইনুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদার। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, আজ বিকেল ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ খালেদা জিয়ার বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দলের ঐক্য বড় বিষয়। দলের মধ্যে মতবিরোধ থাকতেই পারে। মুরুব্বিদের সম্মান দিতে হবে। তরুণদের প্রাধান্য দিতে হবে। অবশ্যই সিনিয়রদেরও প্রয়োজন আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তরুণদের কাজে লাগাতে চেষ্টা করবেন। এখানে যারা ছাত্র আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তারা রাজনীতি না করলেও দেশে গিয়ে ভোট দেবে।’
বক্তব্যের শেষ দিকে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আল্লায় বাঁচিয়ে রাখলে, ভবিষ্যতে ইনশাল্লাহ আপনাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করব। মিটিং করব। ভালোভাবে যেন দেশে পৌঁছাতে পারি, দোয়া করবেন। আপনাদের ভাইয়ার (তারেক রহমান) সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, তার খেয়াল রাখবেন।’
সূত্র: আরটিএনএন
Discussion about this post