প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হাতের নাগালে রাখতেই একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা হত্যার ষড়যন্ত্র আবিষ্কার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তখন কিছু বুদ্ধিজীবী ও একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানমন্ত্রী হত্যার শিকার হতে পারেন বলে গুজব ছড়াচ্ছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোয় ভারতের দাদারা অসন্তুষ্ট। তাই তারা তাকে হাতের নাগালে রাখতে হত্যার ষড়যন্ত্র আবিষ্কার করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উচিত তাঁর পিতাকে স্মরণ করা। বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক ছিলেন, মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। আমরাও অসাম্পদ্রায়িক হতে চাই, তবে ভারতের আধিপত্যবাদ মেনে নিতে চাই না।
জাফরুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বিদেশের মাটিতে গিয়ে কাজ করলেও দেশের অভ্যন্তরে আজ রোহিঙ্গাদের নিয়ে এতো বড় একটি সমস্যা হাজির হয়েছে তবুও সেনাবাহিনীকে কাজে নামাতে সরকার ২০ দিন সময় নিল। এটার কোন ব্যাখ্যা কি তাদের কাছে আছে? রোহিঙ্গাদের কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা থাকলে এতদিন কেন লাগল? এই সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বসে খুব সুন্দর সুন্দর বক্তব্য দিচ্ছেন। জাতিসংঘে তাঁর ভাষণের সময় আসনের দিকে চেয়ে দেখেছেন? কূটনৈতিকভাবে আমরা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছি। ভারত যা করছে তা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। হিন্দুত্ববাদের অন্ধত্ব ভারতকে গিলে খাচ্ছে। আর বার্মার সরকার যা করছে এবং এতে ভারত ও বার্মা যে ভূমিকা রাখছে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে বাধ্য। বার্মা ধ্বংস হয়ে যাবে এমন গণহত্যার নীতি চালাতে থাকলে। আর আমি তো মনে করি ২০ বছরের মধ্যে ভারত ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ নিজেদেরকে বিশ্বের দরবারে উদার ও সহনশীল জাতি হিসেবে প্রমাণ করেছে। তবে তাদের এদেশে থেকে যাওয়া কোনো সমাধান নয়। স্বাধীন আরাকান রাজ্য প্রতিষ্ঠাই হতে পারে তাদের জন্য স্থায়ী সমাধান।
সূত্র: শীর্ষনিউজ
Discussion about this post