অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
উত্তরাঞ্চলসহ বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ ও ক্ষত্রিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করছে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির।
স্মরণকালের সেরা এবারের বন্যায় উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের জান-মালের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিছু জায়গায় পানি কমলেও খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। একই সাথে নানা রকম পানিবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন দুর্গতদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। অন্যদের পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবিরও তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী বন্যার্তদের সাহায্য করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য শিবিরের কেন্দ্র থেকে কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং সেল গঠন করে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
সংগঠনটির তথ্যমতে ইতিমধ্যেই তারা দিনাজপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নীলফামারী, নওগাঁয়, মৌলভীবাজার, টাংগাইল, ঠাকুরগাঁওসহ আরো কয়েকটি স্থানে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রদের মাঝে বিতরণ করেছে নগদ অর্থ।
গত ১৯ আগস্ট বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শিবির সভাপতির নেতৃত্বে দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এসময় তিনি সরকারের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ, বিশুদ্ধ পানি, ঔষধ বা চিকিৎসার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন।
গত ২৪ আগস্ট টাংগাইলের কালিহাতী উপজেলার দূর্গাপুর, দশকিয়া, সল্লাহ, মগড়া এলাকায় শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ততের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এসময় প্রায় ৩৫০টি পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়।
গত ২২ আগস্ট নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় ও ২০ আগস্ট সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সালাহউদ্দীন আইয়্যুবী।
এদিকে শিবিরের একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এবারের বন্যায় দুর্গত এলাকাসমূহে শিবিরের পক্ষ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা সমমূল্যের ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
Discussion about this post