‘আমাকে এক গ্লাস পানি দিন। তারপর আবার মারেন। না হলে আমি মারা যাব। প্রচণ্ড পানির পিপাসা লাগছে।’
বলছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বনী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচ শিক্ষার্থী ফেসবুকে ‘ইসলামিক পেজে’ লাইক দেয়ায় তাদেরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ইসলামিক পেজে লাইক দেয়ায় তাদেরকে ছাত্রশিবির হিসেবে সন্দেহ করে মারধর করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হলের অতিথি কক্ষে তাদের মারধর করা হয় বলে জানা গেছে।
মারধরের শিকার ওই পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বনী, মেহেদী, মাশরুর, ইরফান ও তৃতীয় বর্ষের গফ্ফার।
তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বন্ধু জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে প্রথমে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে রড ও লাঠি দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করেন। মারধরের সময় তাদের কাছে থাকা মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ কেড়ে নেয়া হয়। মারধরের পর তাদের হলের সামনে ফেলে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থী বনী বলেন, ‘আমি তাদের বলেছিলাম, আমাকে এক গ্লাস পানি দিন। তারপর আবার মারেন, না হলে আমি মারা যাব। প্রচণ্ড পানির পিপাসা লাগছে। আমি পানি চাইলে তারা আমাকে পানি দেয়নি। বরং তাঁরা আরো মেরে আমাকে রক্তাক্ত করেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি জহির আহমেদ, ‘তারা (পাঁচ শিক্ষার্থী) শিবির করে, তাই তাদের মারধর করে পুলিশে দেয়া হয়েছে।’
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনছি। তাদের (মারধরের শিকার পাঁচ শিক্ষার্থী) ব্যাপারে থানায় যোগাযোগ করেছি। থানায় তাদের শিবির করার ব্যাপারে কোনো প্রমাণ পায়নি বলে আমাকে জানিয়েছে।’
সূত্র: শীর্ষনিউজ
Discussion about this post