ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে। গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও ছাত্রলীগের কোনো নেতার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে তাঁরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী একটি মিছিল নিয়ে গত বুধবার রাত আটটায় জেলা শহরের নগুয়া এলাকায় জামায়াতের কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা কার্যালয়ের আসবাবসহ সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা জামায়াত সূত্র জানায়, গত বুধবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় তাঁরা তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে প্লাস্টিকের দুই শ চেয়ার, বেশ কয়েকটি টেবিল, দরজা-জানালা, বৈদ্যুতিক পাখাসহ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেন।
এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতের আমির রমজান আলী বলেন, কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে একটি সহাবস্থান ছিল। এখানে কোনো রাজনৈতিক হিংসা-দ্বেষ ছিল না। কিন্তু এ ঘটনার মাধ্যমে জেলার রাজনীতির ঐতিহ্যে আঘাত পড়েছে। এ বিষয়ে তাঁরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুল গণি ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলীর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। তবে ছাত্রলীগের সভাপতি তাঁর ফেসবুক আইডিতে ভাঙচুরের ছবি আপলোড করে মন্তব্য করেন, ‘প্রথম আঘাত কিশোরগঞ্জ এই করলাম জামাত শিবির এর জেলা জেলা কার্যালয় ভাংচুর জেলা ছাত্রলীগ এর বিক্ষোভ মিছিলের পর। বদলা নিতে এক পা পিছপা হবে না কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।…’
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার শওকত জাহান বলেন, বুধবার রাতে কে বা কারা জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর করেন। তবে পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post