• যোগাযোগ
বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

শ্রমিক লীগে যোগ দিয়ে দুই বছরেই কোটিপতি ‘ধর্ষক’ তুফান

জুলাই ৩০, ২০১৭
in Home Post, রাজনীতি
Share on FacebookShare on Twitter

ধর্ষণ অভিযোগে গ্রেফতার তুফান সরকার বগুড়া শহরে দীর্ঘদিন থেকেই আলোচিত হুট করে কোটিপতি হওয়ার কারণে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথমদিকেও তেমন আলোচনায় ছিল না তুফান। তবে মাদক ব্যবসায় তার পরিবার জড়িত কয়েক দশক ধরেই। সেই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে ২০১৫ সালে শহর শ্রমিক লীগে যোগ দেয় সে। এরপর সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে প্রশাসনের নাকের ডগায় মাত্র দুই বছরেই কোটিপতি হয়ে যায় তুফান ও তার পরিবার। গড়ে তোলে ‘তুফান বাহিনী’। এলাকাবাসী ও রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সে এমনই কোনঠাসা করে রেখেছে যে ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথাও বলে না। প্রশাসনও অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় না।

বগুড়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও মাসহ তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় শুক্রবার (২৮ জুলাই) গ্রেফতার হওয়ার আগে বগুড়া শহরের মানুষ তুফান সরকারকে চিনতো ‘শহরের ত্রাস’ হিসেবে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে দুই বস্তা ফেনসিডিল ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল তুফান। সে ঘটনায় কিছুদিন পর ছাড়া পেয়ে আপন বড়ভাই যুবলীগ নেতা মতিন সরকারের সহায়তায় শ্রমিক লীগে যোগ দেয় সে। যোগ দিয়েই হয়ে যায় দলটির বড় নেতা। কিছুদিনের মধ্যেই শহর শ্রমিক লীগের সভাপতি হয়ে মাদক ব্যবসাসহ পরিবহন সেক্টরে ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু করে তুফান। গড়ে তোলে ‘তুফান বাহিনী’। এরপর কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি এবং টানা দেড় বছর ধরে শহরে জুয়ার আসর পরিচালনা করলেও অজানা কারণে তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি। তবে কয়েকটি মামলা বিচারাধীন আছে। প্রশাসন ও দলীয় পর্যায়েও তুফানের বিরুদ্ধে ওঠেনি তেমন কোনও অভিযোগ। ফলে এলাকায় ত্রাস হিসেবে দিন দিন তার পরিচিতি বাড়তেই থাকে, পাশাপাশি ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে তাদের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ।

রবিবার তুফান সরকারের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে চাইলে তার প্রতিবেশীরা সরাসরি তার বিরুদ্ধে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। এর কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, এর আগেও মামলা খেয়ে সে জেলে গিয়েও বের হয়েছে। এবারও যদি বের হয় তাহলে প্রতিশোধ নিতে যা খুশি তাই করতে পারে। তাছাড়া তার বাহিনীর লোকেরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই ভয় আছে।

তবে তুফান ও তার পরিবার সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন তারা। এলাকাবাসীর বর্ণনা অনুযায়ী, তুফানের বাবার নাম মজিবর রহমান। তার ৭ ছেলের মধ্যে তুফান সরকার সবার ছোট। মজিবর রহমান আগে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বগুড়া শহরের রাস্তায় চামড়া কেনাবেচা শুরু করেন মজিবর রহমান। তবে কিছুদিনের মধ্যেই তার পরিবারের সদস্যরা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। সেই শুরু। এরপর প্রতিটি সরকারকে ম্যানেজ করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে গেছে পরিবারটি। বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর চামড়া গুদাম এলাকায় তাদের বাসা।

এলাকাবাসী জানান, তুফান ও তার ভাই রাজনীতিতে আসে মূলত নিজেদের ফায়দা লোটার জন্য। অপরাধের জন্য তুফান নিজস্ব একটি বাহিনী গড়ে তোলে। যাকে এলাকার মানুষ ‘তুফান বাহিনী’ বলেই জানেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো কেউ নেই। এরপর পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল ও চোলাচালানসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয় তুফান। অবস্থা এমন দাঁড়ায়, শহরে কোনও জায়গা দখল বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তুফানকে প্রয়োজন হয়।

তারা আরও জানান, তুফান মাত্র ২-৩ বছরে এসব অবৈধ ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছে। তাদের একাধিক প্রাইভেট কারও রয়েছে। অধিকাংশ সময় পরিবার নিয়ে ঢাকায় পরিবারিক ফ্লাটে থাকে তুফান। এছাড়াও বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর চামড়া গুদাম এলাকায় অত্যাধুনিক ৫ তলা ভবন বানাচ্ছে সে। সম্প্রতি শহরের চকযাদু লেনে কোটি টাকা ব্যয়ে ছেলে তুর্যের নামে অত্যাধুনিক ‘তুর্য সেনেটারি স্টোর’ উদ্বোধন করেছে তুফান।

বগুড়া পুলিশের সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১২ সালে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও মাদক সংক্রান্ত মামলা হয়। ২০১৫ সালে র‌্যাব সদস্যরা তাকে ২ বস্তা ফেনসিডিল ও বিপুল অংকের টাকাসহ গ্রেফতার করে। এরপর ছাড়া পেয়ে শ্রমিক লীগে যোগ দেয় সে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক থাকায় সবাই তাকে ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য। এর সুযোগ নিয়ে শহর শ্রমিক লীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেয় তুফান। তার বড় ভাই জেলা যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা শ্রমিক লীগের একজন নেতা জানান, তুফান সরকার ২০১৫ সালে শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় বাণিজ্য মেলায় নামে প্রায় দেড় বছর জুয়ার আসর পরিচালনা করে। এখানে কয়েক কোটি টাকা আদায় করে সে। তার বিরুদ্ধে চোরাই গাড়ি কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে। দলের নাম ও পদ ভাঙিয়ে প্রায় দু’বছর বগুড়া শহরে অন্তত ১০ হাজার ব্যাটারিচালিত ইজি বাইকে চাঁদাবাজি করেছে তুফান। তার স্টিকার ছাড়া বগুড়া শহরে কোনও রিকশা চলতো না। প্রতিটি রিকশায় এককালীন দেড় হাজার টাকা ও দৈনিক ২০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে। শুধু ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন প্রশাসন ম্যানেজসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের পরও অন্তত ১০ হাজার টাকা পকেটে তুলেছে তুফান। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশের পর তুফান বাহিনী বগুড়ার চার্জার ব্যাটারি রিকশায় চাঁদাবাজি বন্ধ করে। তবে এর আগেই ইজিবাইকগুলো থেকে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে তুফান। দলের শীর্ষ নেতাদের সমর্থন ও যোগসাজস থাকায় তুফানের ব্যবসা ও চাঁদাবাজিতে কোনও সমস্যা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, তুফান ও তার পরিবারের অনেক সদস্যের মাদক ব্যবসা সম্পর্কে সবাই জানেন। তারা মাদক ব্যবসায়ী পরিবার ছাড়া সন্তানদের বিয়ে দেন না বগুড়ায় এটাও সবার মুখে মুখে প্রচারিত। এমন দেখা গেছে, কিছুদিন আগে যারা মানুষের কাছে হাত পেতে চেয়ে খেতেন, তুফানদের সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাধে তারা এখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঘুমান।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, গত পৌরসভা নির্বাচনে তুফান, তার ভাই যুবলীগ নেতা মতিন সরকার ও অন্যরা ভোট কারচুপি করে ২ নম্বর সংরক্ষিত আসনে তুফানের শ্যালিকা মারজিয়া হাসান রুমকি ও ১ নম্বর আসনে বিয়ান নিলুফা কুদ্দুসকে বিজয়ী করেছেন।

উল্লেখ্য, বগুড়ার এক কিশোরীকে কলেজে ভর্তি করানোর নামে গত ১৭ জুলাই তাকে নিজ বাড়িতে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। তুফানের স্ত্রী এ ঘটনা জানতে পেরে স্বামীকে দায়ী না করে কিশোরীটিকেই ঘটনার জন্য দায়ী করে এবং সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার মর্জিয়া হাসান রুমকির মাধ্যমে শুক্রবার (২৮ জুলাই) শালিস সভা বসিয়ে নির্যাতিতা ও তার মায়ের চুল কেটে দেয়। পরে নাপিত ডেকে তাদের ন্যাড়া করিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করালে সে রাতেই তুফানসহ তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৯ জুলাই শনিবার তুফানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতিতা কিশোরী। এ ঘটনার পর রবিবার তাকে শ্রমিক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

তুফানকে বহিষ্কারের ঘটনার পর তার প্রভাব ও অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ গুরুতর অসদাচরণ ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তুফান সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তার সম্পদের বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।’

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, ‘তুফান সরকারের আগের মামলা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। তবে গত ২০১৫ সালের একটি মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।’ তুফানের সম্পত্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিলেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

সম্পর্কিত সংবাদ

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
Home Post

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

    সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • গুম-খুন-ধর্ষণের সূচনা করেছিলো শেখ মুজিব!

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • বসুন্ধরার মালিকের পরিবারে চাঞ্চল্যকর যত খুন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধে আল্লামা সাঈদীর ভূমিকা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫
নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD