ওসির সামনেই আসামিকে জুতাপেটা করতে উদ্যত হয় মামলার বাদী। শনিবার ইভান ও ধর্ষিতা তরুণীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের সময় বনানী থানার ওসি বিএম ফরমান আলীর রুমে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাদীকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন আসামি। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বনানীতে বাসায় ডেকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত করছেন বনানী থানার এসআই সুলতানা আক্তার। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মামলার বাদী এক তরুণী ও রিমান্ডে থাকা আসামি বাহাউদ্দিন ইভানকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রোববার তরুণী নিজেই যুগান্তরের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এদিকে শর্ত সাপেক্ষে মামলা তুলে নিতে রাজি আছেন বাদী (তরুণী) নিজেই। এক্ষেত্রে তিনটি শর্তের প্রথমটি হচ্ছে, ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপগুলো ফেরত দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন সময়ে তরুণীর কাছ থেকে নেয়া প্রায় দুই লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে।
তৃতীয়ত, ইভান ওই তরুণীকে আর কখনও ডিস্টার্ব করবে না এটা লিখিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। রোববার বিকালে বারিধারা ডিওএইচএসের বাসায় বসে যুগান্তরের সঙ্গে কথা হয় তরুণীর।
এ সময় সে ইভানের বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ এবং তার (ইভানের) সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। তরুণীর ভাষ্য, ‘আমি মামলা করতে চাইনি। পুলিশকে বলেছিলাম, ইভানের কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিও, মোবাইল সেট, মোমোরি কার্ড এবং ব্যাগটি উদ্ধার করে দিলেই চলবে।’ অতীতের ধর্ষণের ভিডিওগুলো তার নিজের মোমোরি কার্ডেও ছিল বলে স্বীকার করেন তরুণী।
যুগান্তরের অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই তরুণীর ৫ বছর বয়সী সন্তান এখন তার নানীর কাছে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে আছে। পুলিশ এবং যুগান্তরের কাছে সন্তানের ব্যাপারে অস্বীকার করলেও তরুণীর বাবা পুলিশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তরুণী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি প্রথম ইভানের বাসায় যান। একই সঙ্গে তরুণী দাবি করেন, তার নিজের বাসা, খিলক্ষেতের ৩০০ ফুট এলাকা, নিকুঞ্জ, বনানী এবং ইভানের গাড়িতে বেশ কয়েকদিন তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। তবে এ সম্পর্ককেও ধর্ষণ হিসেবে উল্লেখ করেন তরুণী।
পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তরুণীর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর থানায় হলেও এজাহারে তিনি কুড়িগ্রাম সদর থানা উল্লেখ করেছেন। এ তরুণী প্রথমে পুলিশকে জানিয়েছিলেন মা-বাবার সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই (পরে জানান, মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। কিন্তু মোবাইল নম্বর মুখস্থ নেই)। এসব কারণে তরুণীর অভিভাবকদের খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছিল।
অবশেষে তার বাবা সাবেক সেনা সদস্যকে পাওয়া গেছে। তিনি শনিবার রাতে থানায় এলে তরুণীকে তার (বাবা) জিম্মায় দেয়া হয়। তবে তরুণীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, মেয়ের সঙ্গে সব সময় তার যোগাযোগ ছিল। কারও মাধ্যমে তার মেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা তার জানা ছিল না। তরুণীর বাবা পুলিশকে আরও বলেন, ‘আমার মেয়ের প্রতি যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাহলে তার বিচার চাই।’
ইভানের স্ত্রী টুম্পার অভিযোগ, ‘পাঁচ হাজার টাকার কন্ট্রাক্টে ইভানের বাসায় এসেছিল ওই তরুণী। শারীরিক সম্পর্কের পর পুরো টাকা পরিশোধ করেনি ইভান। কারণ, তখন বাসায় টাকা ছিল না। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। টুম্পার দাবি, তরুণী একা ওই বাসায় আসেননি। তার এক ছেলে বন্ধুকে নিয়ে এসেছিলেন। ওই ছেলে বন্ধু বাসার বাইরে অবস্থান করছিল। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই ছেলে বন্ধুকে ফোন করে তরুণী জানায়, ১০-১২ পিস ইয়াবা নিয়ে আয়।
এই বাসায় বসে ইয়াবা খাব। তখন ইভান বলেন, বাসায় এসব হলে মা-বাবা ঘুম থেকে জেগে যাবে। পরে সমস্যা হবে। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে তরুণীকে জোর করে বাসা থেকে বের করে দেয় ইভান।’ টুম্পার দাবি, তরুণীর সঙ্গে যে ব্যাগটি ছিল সেটি তার ছেলে বন্ধুর কাছেই আছে। টুম্পা আরও জানান, ইভানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
শনিবার বিকালেও ইভানের মোবাইল খুঁজতে পুলিশ বাসায় এসেছিল। বাসায় তার মোবাইল না পেয়ে বনানী থানার ওসি বিএম ফরমান আলী থানায় অবস্থানরত এক পুলিশ সদস্যের মোবাইলে ফোন করে রিমান্ডে থাকা ইভানের সঙ্গে কথা বলেন। ইভান তখন পুলিশকে জানায়, আলমারিতে খুঁজে দেখেন। কিন্তু পুলিশ সেখানেও তা খুঁজে পায়নি।
তরুণীর সাক্ষাৎকার : ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার বাদী ওই তরুণী যুগান্তরকে বলেন, তার বান্ধবী শারমীন এবং দূর সম্পর্কের বোন সুমির মাধ্যমে প্রায় এক বছর আগে ইভানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সুমি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের শিল্পী। সুমি, শারমীন, ইভান এবং আমি একদিন গুলশানের নান্দুস রেস্টুরেন্টে সাক্ষাৎ করি। এরপর থেকে ফেসবুক এবং মোবাইল ফোনে ইভানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হতো।
তরুণী বলেন, ‘আমরা এক সঙ্গে অনেক জায়গায় ঘুরতে যেতাম। যখন এক সঙ্গে ঘুরতে যেতাম তখন ইভানের মা ইতি এবং স্ত্রী টুম্পা প্রায়ই ফোন দিত। তখন সে তার মাকে বলত, আমি অরিনের সঙ্গে আছি। এ থেকে আমি বুঝতে পারি যে, আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি তার মা জানত। আমি টুম্পার কথা জিজ্ঞাসা করলে বলত, টুম্পা তার বোন।’
তরুণী বলেন, ‘আমরা ৩০০ ফুট এলাকা, উত্তরার বিভিন্ন স্থান, নিকুঞ্জ এবং বনানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে যেতাম। ইভান তার বন্ধুদের কাছে আমাকে স্ত্রী বলে পরিচয় করিয়ে দিলেও আমি আপত্তি করতাম না। তার ৪-৫ জন বন্ধু আমাকে ভাবী বলেই ডাকেন। তিনি জানান, কয়েক মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর থেকেই সে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
গত মে মাসে ৩০০ ফুট রাস্তায় ইভানের গাড়িতে যখন শারীরিক সম্পর্ক হয় তখন তা গোপন ক্যামেরায় ভিডিও করে রাখে ইভান।’ তরুণী বলেন, ‘ডিওএইচএসের বাসায় আমি উঠি গত ৪ জুন। পরদিন ইভান তার এক বন্ধুকে নিয়ে আমার বাসায় আসে। তার সঙ্গে ছিল মার্টিন বিয়ার এবং বিদেশি মদ। পরে সে আমাকে মদ এবং বিয়ার এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ায়।
এরপর আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। তার বন্ধু ওই দৃশ্য ভিডিও করে। ওইদিন আমি প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম। সকালে আমি সুস্থ হলে দেখতে পাই, ইভান আমার বেডরুমে। ওই সময় ইভান জানায়, সে যে মিশন নিয়ে এসেছিল ওই মিশন বাস্তবায়ন হয়েছে। এর পর আমি ফেসবুকে তার আইডি ব্লক করে দিই, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করি। কিন্তু সে ওই ভিডিও’র মাধ্যমে ব্ল্যাক মেইলিং করে বারবার আমাকে পেতে চাইত। বাসায় এসে হৈচৈ করত।
শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হুমকি দিত। ছুরি এবং রিভলভার নিয়েও আমার বাসায় আসত। বলত যদি আমি (তরুণী) তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখি তাহলে সে আত্মহত্যা করবে। ভয় দেখিয়ে গত রমজানে নিকুঞ্জ এলাকায় নিয়ে তার গাড়িতে আমাকে ধর্ষণ করে। সেটিরও ভিডিও করে গোপন ক্যামেরায়।’
এক প্রশ্নের জবাবে তরুণী বলেন, ‘ইভান কখনও গাড়িচালক নিয়ে আমার কাছে আসত না। কখনও ইভান গাড়ি চালাত, আবার কখনও আমি নিজে তার গাড়ি ড্রাইভ করতাম। ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যায় আমার বাসার নিচে গাড়ি নিয়ে এসে আমাকে জোর করে তার গাড়িতে তোলে। ওইদিন বলে, কাল আমার জন্মদিন। তুমি যদি আমার বাসায় না যাও তাহলে অতীতের সব ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেব।’
তরুণী বলে, ‘ওইদিন রাতে বারিধারা ডিওএইচএস থেকে বনানী ন্যাম ভিলেজ পর্যন্ত পুরো রাস্তা রিকশায় গিয়েছি। একবার রিকশা বদল করেছি। বনানীতে যাওয়ার পর সরাসরি ইভান আমাকে বাসায় নেয়নি। বাসার কাছে যাওয়ার পর বলেছে, তুমি বাইরে অপেক্ষা কর। বাসায় জন্মদিনের কিছু কাজ আছে। আমি সেসব সেরে নিই।
তখন আমি বুঝতে পারিনি যে, বাসার অন্য সদস্যদের ঘুমানোর জন্যে সে অপেক্ষা করছিল। প্রায় দুই ঘণ্টা সময় আমি বনানীর বিভিন্ন রাস্তায় রিকশায় ঘুরেছি। রিকশা ভাড়া দিয়েছি ৪৮০ টাকা। রাত ১১ টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ইভান আমাকে বাসায় নিয়ে যায়। আমি তার রুমে প্রবেশের ৫-৭ মিনিট পর তার দুই বন্ধুও বাইরে থেকে তার রুমে আসে। তারা ইভানের হাতে একটি প্যাকেট দিয়ে চলে যায়।
সম্ভবত সেটি ছিল ইয়াবার প্যাকেট। এরপর তারা বাইরে চলে গেলে ২০-৩০ পিস ইয়াবা, মারিজোয়ানা (গাঁজা জাতীয়) এবং এক বোতল ড্রিংক নিয়ে বিছানায় বসে পড়ে। পরে আমাকে জোর করে ইয়াবা খাইয়ে ধর্ষণ করে। পাশাপাশি গোপন ক্যামেরায় তা ধারণ করে। এতে বাধা দেয়ায় আমাকে মারধরও করা হয়। সে যখন দ্বিতীয়বার ভয়ঙ্কর হওয়ার চেষ্টা করছিল তখন আমি বাসা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করি। আমি মনে করছিলাম, আমি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে সে স্বাভাবিক হবে।’
তরুণী আরও বলে, ‘ইভান দুই দিন পর পর আমার কাছে টাকা চাইত। ঘটনার রাতে আমার ব্যাগে ২৫ হাজার টাকা ছিল। সে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। ব্যাগে আরও ১৫ হাজার টাকা ছিল। আমাকে বাইরে বের করে দেয়ার পর দেখি, তার দুই বন্ধু গেটের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। গেটে যখন আমার এবং ইভানের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল তখন তাদের একজন (কালো শার্ট পরা) মাঝেমধ্যে আমাকে হেল্প করত। আবার ইভানকেও হেল্প করত। ব্যাগটি তার কাছেই ছিল। পরে ইভান ওই ব্যাগটি বাসায় নিয়ে যায়, যা এখনও উদ্ধার হয়নি।’
তরুণী বলেন, ‘ঘটনার পরদিন ইভানের বেডরুমে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম। ওইদিন পুলিশ আমাকে বাঁচিয়েছে। ইভানের কারণে এর আগে আমার ডিওএইচএসের বাসায় এই রমজানে একবার আÍহত্যার চেষ্টা করেছিলাম। ওইদিন আমার বোন সুমি আমাকে বাঁচিয়েছে।’ সে বলে, বেড়াতে বা খেতে যাওয়ার সময় ইভান কখনও বিল দিত না। সব বিল আমিই পরিশোধ করতাম। ঈদের আগে সে আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছে। ঈদে আমি তাকে পাঁচ হাজার টাকা সালামী দিয়েছি।
সে আমাকে এক টাকাও দেয়নি।’ তরুণীর দাবি, ইভানের স্ত্রী সবকিছু জানার পরও ইভানকে আশকারা দিয়েছে। তাই ইভান এত খারাপ হতে পেরেছে। তরুণী জানান, দু-একদিন পর পরই ইভান বাইরে থেকে মেয়ে নিয়ে বাসার ছাদে যেত। তরুণী বলেন, ‘আমার ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর আমার পরিচিত অন্তত চারজন মেয়ে পৃথকভাবে আমাকে ফোন করে বলেছে, তাদের সঙ্গেও ইভান শারীরিক সম্পর্ক করেছে।
ইভানের এমন শাস্তি হওয়া উচিত যেন ভবিষ্যতে কোনো ছেলে এমন হওয়ার সাহস না পায়।’ এক প্রশ্নের জাবাবে বলেন, ‘২০১১ সালে সৈকত নামের এক ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। তখন সৈকত ছাত্র ছিল। ওই সংসারে একটি সন্তান হয়। সাত দিন বয়সে ওই সন্তান মারা যায়। ২০১৩ সাল থেকে সৈকতের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই।’ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে স্বামী পরিচয় দিয়ে বারিধারায় বাসা নেয়ার বিষয়ে বলেন, মিজান আমার চাচাতো ভাই। তবে মিজানুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ২ মাস আগে তার সঙ্গে তরুণীর পরিচয় হয়। পরিচয় সূত্রে তরুণীকে বাসা ভাড়া নিতে তিনি সহযোগিতা করেছেন।
জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কেবল ধর্ষণের বিষয়টি তদন্ত করছি। কারণ, মামলা হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগে। দু’জনের শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি ইভানও স্বীকার করেছে। তাই ধর্ষণের বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু ধর্ষণের আগে তাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়েছে কিনা সেটা এখন তদন্তের বিষয়। এ জন্য মেয়েটির প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’
আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে ইভান স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে এসি রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো ভুক্তভোগী যদি অভিযোগ করে তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, তরুণী এবং ইভান অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। কোনটা সঠিক, কোনটা মিথ্যা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার দুপুরে ইভানের বিরুদ্ধে বনানী থানায় একটি মামলা করেন এক তরুণী। এজাহারে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে জন্মদিনের কথা বলে ওই তরুণীকে বনানীর নিজ বাসায় ডেকে নেয় ইভান। ওইদিন রাত ১টার দিকে বনানী ২ নম্বর রোডের ন্যাম ভিলেজের ৫/এ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলার বি-১ নম্বর ফ্ল্যাটে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পরই তরুণীকে জোর করে বাসা থেকে বের করে দেয় ইভান। পরে সে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রোববার রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন পার হয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post