স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ ২০১৪ সালে শাহবাগে নিজ পরিবহন বিহঙ্গ পরিবহনে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে ১১ জনকে হত্যা করে শেখ হাসিনার কাছ থেকে মনোনয়ন বাগিয়েছিলেন। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ থেকে দুবার নির্বাচিত এমপি, মেহেন্দিগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি, বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মইদুল ইসলাম।
মেহেন্দিগঞ্জের চানপুর ইউনিয়নে পঙ্কজ দেবনাথের ভোট জালিয়াতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে নির্বাচন বর্জন করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তারপর বেলা ২টায় জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহেব আলম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সুমনসহ একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মইদুল ইসলাম বলেন, এমপি পঙ্কজ দেবনাথের দুর্নীতির কারণে মানুষ আজ বীতশ্রদ্ধ। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যখন আন্দোলন চলছিল, তখন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ তার নিজস্ব বিহঙ্গ পরিবহনে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগান। এতে ১১ জন যাত্রী মারা যায়। এ ঘটনার পর তিনি দলেরনেত্রীর সহানুভূতি অর্জনে সক্ষম হন এবং মনোনয়ন লাভ করেন।
তিনি জানান, গতকালের (২৩শে মে) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর একের পর এক হামলা চালায় এমপির লোকজন। বেলা ১১টায় নৌকার প্রার্থী ভোট বর্জন করার পরও হামলা অব্যাহত থাকে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তিনি কিছু দিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। স্কুলের দপ্তরি ও শিক্ষক নিয়োগেও তিনি লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে মইদুল দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মইদুল বলেন, পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। নির্বাচনকালীন পুলিশকে দেখা গেছে পঙ্কজ দেবনাথের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোলাকুলি করতে।
নিজ পরিবহনে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগানোর বিষয়ে মইদুল ইসলামের অভিযোগ সম্পর্কে পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, এসব কথা বিএনপি জামায়াত নেতাদের মুখের বুলি। উনি (মইদুল ইসলাম) কি জামায়াত বিএনপির মুখপাত্র? নির্বাচনে তার লোকজনের সহিংসতা প্রসঙ্গে বলেন, এগুলো সব মিথ্যা কথা। পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন লাভের জন্যই মইদুল এসব বুলি আওরাচ্ছেন।
সূত্র: মানবজমিন
Discussion about this post