অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা কোনোভাবেই থামছে না। প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়মিতই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এতদিন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও চলতি বছর থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।
গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। আর শুক্রবার অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এঘটনায় হতাশ হয়ে পড়েছে এ পদে আবেদনকারী দুই লাখ চাকরি প্রার্থী।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই অনেক আবেদনকারী প্রশ্নপত্র পেয়ে যায়। আর এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হলে অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছড়াছড়ি ছিল। যাদের হাতে এ প্রশ্নের কপি ছিল তারা সবাই সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কয়েকজন ব্যক্তি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছে দিয়েছে বলে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার পর এনিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়ে গেছে। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চাকরি দেয়ার জন্যই সরকারের লোকজন প্রশ্ন ফাঁস করেছে বলেও মনে করছে অনেকে।
Discussion about this post