মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি। মঙ্গলবার রাতে পার্টির সংসদীয় দলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পার্টির বেশিরভাগ সংসদ সদস্য এতে উপস্থিত ছিলেন।
তবে এখনই সরকার থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মত দেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, এরশাদ এবং রওশন এরশাদ কার্যকর বিরোধী দলের দায়িত্ব পালনের স্বার্থে এখনই সরকার থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে বক্তব্য দেন। এ সময় বেশিরভাগ সংসদ সদস্য তাদের দু’জনের বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান নেন।
বৈঠকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, বিএনপি হারিয়ে গেছে। এখন দেশের মানুষের কাছে একমাত্র ভরসার জায়গা জাতীয় পার্টি। পার্টির উচিত মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে এসে কার্যকর বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা রাখা।
রওশন এরশাদ এ সময় এরশাদের এ বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে থাকায় জাতীয় পার্টির ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ প্রশ্ন দূর করতে সরকার থেকে জাতীয় পার্টিকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত বেশিরভাগ সংসদ সদস্য এরশাদ ও রওশন এরশাদের এ বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানালেও পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম দ্বিমত পোষণ করেন।
তিনি বলেন, সরকার থেকে জাতীয় পার্টির বেরিয়ে আসার সময় এখনও হয়নি।
উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ছাড়া বর্তমান মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির তিনজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।
তারা হলেন : পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post