স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হেফাজতের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার কোনো মিল নেই। এ দুটিকে একসঙ্গে মেলানো যাবে না। কওমি মাদ্রাসা এক জিনিস, স্বীকৃতি দেওয়া এক জিনিস আর জঙ্গিবাদ আরেক জিনিস।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ রোববার দুপুরে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর নবনির্মিত থানা ভবন উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রসঙ্গ আরও বলেন, কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির বিষয়টি অনেক পুরোনো ইস্যু। প্রধানমন্ত্রী কয়েক বছর আগে এ বিষয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন। তখন তাঁরা একত্রে আসতে পারেননি। এখন তাঁরা একত্রে এসেছেন, তাই প্রধানমন্ত্রী তাঁদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন ছিল। কারণ, লাখ লাখ ছাত্র এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন। তাঁরা যাতে ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, দ্বীনের কাজের সঙ্গে সঙ্গে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারেন, তাই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার পুরোনো জরাজীর্ণ থানা ভবনগুলোকে নতুন করে নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সব থানা ও ব্যারাককে আধুনিক মডেলে তৈরি করা হচ্ছে। যাতে এখানে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁরা যেন স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারেন। পাশাপাশি এখান থেকে সাধারণ মানুষ সর্বোচ্চ সেবা পাবে। এখন পুলিশ সদস্যদের একটাই ব্রত, তাঁরা নিরাপত্তার চাদরে পুরো দেশকে ঢেকে দেবেন।
থানা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-৩ (ঝিনাইগাতী-শ্রীবরদী) আসনের সাংসদ এ কে এম ফজলুল হক, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, পুলিশের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত ডিআইজি আক্কাস উদ্দিন ভূইয়া, শেরপুরের জেলা প্রশাসক মল্লিক আনোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার মো. রফিকুল হাসান গনি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ছানুয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম এ ওয়ারেজ নাইম, সাধারণ সম্পাদক এস এম আমিরুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঝিনাইগাতী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
শেরপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ছয়তলা ভিতবিশিষ্ট ঝিনাইগাতী থানা ভবনের চারতলার নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ২৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের দৃষ্টিনন্দন এ ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post