গত বছরের মতো এবারও সরকারিভাবে ইফতার মাহফিল করা বন্ধ করে দিয়েছে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার ঘোষণার পর তার দল আওয়ামী লীগও সারাদেশে দলীয়ভাবে কোনো ইফতার মাহফিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি বেসরকারিভাবেও যাতে মানুষ ইফতার মাহফিল করা কমিয়ে আনে সেই প্রচারও করছে আওয়ামী লীগ নেতারা।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ইফতার মাহফিল করলে অনেক খরচ হয়। সেই টাকা তারা গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করে দিবে। আর ব্যয় কমাতে তারা সাধারণ মানুষকেও ইফতার মাহফিল করতে নিরুৎসাহীত করছে।
এখন প্রশ্ন হল-শেখ হাসিনা কি সত্যিকার অর্থেই ব্যয় কমাতে চায়? হাসিনা যে ব্যয় কমাতে চায় সেটার প্রমাণ কী? বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। শেখ হাসিনা আসলে ব্যয় কমানোর নামে চরম ভন্ডামী করছে। এরও যথেষ্ট প্রমাণ আছে। ১৭ মার্চ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ছিল। হাসিনা তার বাবার জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রের কত টাকা অপব্যয় করেছে সেটার কি হিসাব আছে?
১৭ মার্চ রোববার দেখা গেছে দেশের প্রায় সব পত্রিকায় মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে। এই ক্রোড়পত্র মূলত বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বিটিভিসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতেও মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়েছে। এসব ক্রোড়পত্র ও বিশেষ অনুষ্ঠানে কত শত কোটি টাকা খরচ হয়েছে সেটার হিসাব কি শেখ হাসিনা জাতির সামনে পেশ করবে?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব ক্রোড়পত্র ও টিভিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের পেছনে রাষ্ট্রের শত শত কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন সামনে চলে আসে। আর সেটা হল শত শত বছর পূর্ব থেকে চলে আসা মুসলমানদের ইফতার মাহফিলের চেয়ে কি হাসিনার বাবার জন্মদিনের গুরুত্ব বেশি? ইফতার মাহফিলে কয়শো কোটি টাকা খরচ হয়? আর মুসলমানদের ইফতার খাওয়ানোর চেয়ে একজন স্বৈরাচারের জন্মদিনের ক্রোড়পত্র প্রচার কি বেশি ছাওয়াবের কাজ? একজন স্বৈরাচারের জীবন কাহিনী প্রচারের জন্য রাষ্ট্রের শত শত কোটি টাকা খরচ করতে পারলে ইফতার মাহফিলে সমস্যা কোথায়?
আসলে কথিত ব্যয় কমানোর নামে শেখ হাসিনা এদেশে পবিত্র রমজান মাসের ঐতিহ্য ইফতার মাহফিলকে ধীরে ধীরে বন্ধ করার চক্রান্ত করছে। তারপর, শেখ হাসিনার পরিবারের লোকজন ও তার দলের নেতারা প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিচ্ছে। দেশের আর্থিক খাতগুলোকে একেবারে ফুতুর করে দিয়েছে। এসব দুর্নীতি বন্ধে হাসিনার ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ নাই। অথচ মানুষকে ইফতার খাওয়ানো একটি বড় ধরণের ছাওয়াবের কাজ।
কথিত ব্যয় কমানোর অজুহাতে ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে। এতেই বুঝা যায় যে শেখ হাসিনা আসলে একজন চরম বক ধার্মিক। হাসিনা একজন লেবাসধারী মুসলমান। ঘুম থেকে উঠে জায়নামাজ খোজা হল তার চরম ভন্ডামী। একজন ভন্ডের পক্ষেই শুধু এসব করা সম্ভব।
Discussion about this post