১৫ বছর ধরে দেশকে শাসন করা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সীমাহীন জুলুম নির্যাতনের কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৪ ও ১৮ এর নির্বাচনের কথা ভুলে যায়নি দেশের মানুষ। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে আ.লীগ সরকার। যার প্রধানমন্ত্রী হন আ.লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
দেশকে সংকটের মুখে ফেলে দিয়ে ১৪ ও ১৮ এর মত করে ২০২৪ সালের নির্বাচন একতরফা করে নেয়ার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে আ.লীগ। বিরোধী দলের বড় বড় সব নেতাদের গ্রেপ্তার এবং জামায়াত ইসলামীর মত একটি বৃহত্তর ইসলামিক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের মধ্য দিয়ে তার চূড়ান্ত রূপ রেখা নির্ধারন করেছে আ.লীগ।
গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করেছে আ.লীগের দলীয় ও গৃহপালিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আ.লীগ তার দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। সারা দেশ থেকে দলীয় নেতা-কর্মী, খেলোয়াড়, নায়ক, নায়িকা, গায়ক, গায়িকারা আ.লীগের মনোনয়ন ফরম ক্রয় করা শুরু করেছে। এতে করে কোটি কোটি টাকার ফরম বিক্রি করছে আ.লীগ।
একদিকে তফসিল ঘোষণা দিয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে আ.লীগ। অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর চলছে জুলুম নির্যাতন হামলা মামলা। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ কয়েক হাজার নেতা-কর্মী কারাবন্দী। জামায়াত ইসলামীরও অসংখ্য নেতা কর্মী কারাবন্দী একই সাথে দলটির নিবন্ধন বাতিলের রায়টিও বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
তফসিল ঘোষণা করেছে আ.লীগ, মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে আ.লীগ। উৎসবের সব আমেজ বিরাজ করছে আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে। আ.লীগের নেতা-কর্মীরা ছবি পোষ্ট করছে মনোনয়ন ফরমসহ। তারা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে। ভোটের দিন সমস্ত কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট থাকবে, তাদের পুলিশ ও আনসার বাহিনী থাকবে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে আ.লীগের নির্বাচন কমিশন। মিডিয়ায় রিপোর্ট কভার করবে আ.লীগের মিডিয়া ও আওয়ামী সাংবাদিকবৃন্দ। সব কিছুই যেহুতু আওয়ামী মনোনীত সেহুতু এসব তফসীল ঘোষণা আর ফরম্যালিটিরর নির্বাচনের আয়োজন করে দেশের কোটি কোটি টাকা লস করার কোনো যৌক্তিকতা নাই। কারন এরপর দেশ আওয়ামীলীগেরই চালাইতে হবে, টাকা পয়সার সমস্যায় পড়লে আওয়ামী লীগই পড়তে পারে।
এখনে ঘোষনা দিয়ে দিলেই ভালো হবে যে ২৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আ.লীগ আবারও সরকার গঠন করবে।
একটি দেশের গণতন্ত্র, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, ব্যাংক রিজার্ভ, কিভাবে নষ্ট করতে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ালীগ। বিচার বিভাগকে কিভাবে দলীয়করন করতে হয় তাও দেখিয়ে দিয়েছে আওয়ামীলীগ।
Discussion about this post