জামায়াত কর্মী আবুল হোসেন রাজনকে গ্রেফতার করে গুম করার অভিযোগ উঠেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তির দাবীতে গত ২২ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় মিছিল ও সমাবেশ করে জামায়াত ঢাকা মহানগরী। সেই মিছিল থেকে জামায়াত কর্মী আবুল হোসেন রাজনকে আটক করে পুলিশ। সেই থেকে আজ অবধি আবুল হোসেন রাজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে গত ২২ শে জানুয়ারি রবিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজার কাজী অফিস লেন থেকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আবুল হোসেন রাজনকে গ্রেফতার করে রমনা থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পরে ২২ জানুয়ারি রাতেই তাকে রমনা থানা থেকে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকে পুলিশ রাজনের গ্রেফতারের বিষয় অস্বীকার করে যাচ্ছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে তার পিতা ও স্ত্রী থানায় যোগাযোগ করলে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করে তার কোন সন্ধান দেওয়া হয়নি। অথচ গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেন রাজনকে থানা হেফাজতে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে তার বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত জনদের অফিস ও বাসা-বাড়িতে হানা দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার ও হয়রানি করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এভাবে বিশিষ্ট ব্যাংকার খলিলুর রহমান ও মাওলানা আবু তাহেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। খলিলুর রহমান ও মাওলানা আবু তাহেরকে আদালতে হাজির করা হলেও রাজনকে এখনো আদালতে প্রেরণ করেনি। এতে আবুল হোসেন রাজনের পরিবার খুবই উদ্বিগ্নতার সাথে দিন অতিবাহিত করছে।
২২ জানুয়ারি রাতে পরিবারের সদস্যরা রাজনকে হাতিরঝিল থানায় দেখলেও তার সাথে কথা বলতে পারে নি। এরপর থেকে পুলিশ রাজনের গ্রেফতারের বিষয় অস্বীকার করে যাচ্ছে। রাজনকে আদালতে সোপর্দ করার দাবী জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী বিবৃতিতে বলেছে, আদালতে হাজির না করে থানা হেফাজতে ২৪ ঘন্টার অধিক আটক করে রাখা এবং বর্বরোচিত নির্যাতন করার ঘটনা, স্বাধীন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। অথচ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত এমন কর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। মূলত জবাবদিহিতার অভাব ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে তারা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা বারবার ঘটাচ্ছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই অমানবিক আচরণ পরিহার করে পূর্ণ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
Discussion about this post