অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু খুনী, চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, ছিনতাইকারী, দুর্নীতিবাজ, ধর্ষক আর জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল না, তিনি এখন ভন্ড, বাটপার আর প্রতারকদেরও আশ্রয়স্থল। তার শাড়ির আচলের নিচে থেকে সমাজের কিছু লোক মানুষের সাথে দেদারসে প্রতারণা ও বাটপারি করে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে দুয়েকজন ধরাও পড়ছে।
গত বছর দেখা গেছে, মহামারি করোনার সময় দেশের মানুষ যখন প্রতি মুহূর্তে করোনার ভয়ে আতঙ্কিত থাকতো, ঠিক সেই সময়ও সাহেদ করিম নামে হাসিনার পালিত এক প্রতারক করোনা চিকিৎসা নিয়ে মহাপ্রতারণা করেছে। করোনার চিকিৎসার নামে সাহেদ তার হাসপাতালকে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের আখড়ায় পরিণত করেছিল।
এই সাহেদ ধরা পড়ার পর বেরিয়ে এসেছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে করা দীর্ঘ দিনের প্রতারণার ভয়াবহ ঘটনা। সাহেদের অভিনব প্রতারণার কৌশল দেখে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত বিস্মিত হয়েছে। কিন্তু সাহেদ ধরা খেলেও তার পেছনে যারা ছিল তারা আছে ধরা ছোয়ার অনেক বাইরে।
কিন্তু সাহেদই শেষ? না, সাহেদ শেষ নয়। তার মতো আরও বহু প্রতারক আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ে। মাঝে মধ্যে দুয়েকজন ধরা পড়ে।
গত দুইদিন আগে হাসিনার আশ্রয়ে থাকা এরতেজা হাসান নামে কথিত এক ডক্টর ও সাংবাদিক ধরা পড়েছে। এই এরতেজা কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী নেয়নি। তারপরও নামে আগে ডক্টর ব্যবহার করে। এই ভন্ড জীবনে কখনো সাংবাদিকতা করেনি। তারপরও দুইটি পত্রিকার দোকান খুলে বছরের পর বছর চাদাবাজি, জালিয়াতি ও মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে।
আর এই ভন্ড ও প্রতারক এরতেজার খুটির জোর হল গণভবন। হাসিনাকে খুশি করতে সে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্ম চিন্তা’ নামে একটি বইও লিখেছেন। জানা গেছে, এই প্রকাশের পর ভন্ড এরতেজা হাসিনার আরও ঘনিষ্ট হয়ে উঠে। উপহার সরুপ শেখ হাসিনা তাকে দলের শিল্প বিষয়ক কমিটির সহকারী ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ দেন। এমনকি বর্তমানে এরতেজা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এরতেজার পত্রিকায় যারা কাজ করে সে কাউকে ঠিক মতো বেতন দেয় না। অনেকেই বেতনের টাকা না পেয়ে চাকরি ছেড়ে চলে আসে। কয়েকজন সাংবাদিক তাদের পাওনা টাকা চাওয়ায় এরতেজা তাদেরকে পিস্তল দিয়ে গুলি করারও হুমকি দিয়েছিল। এছাড়া কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট করে তাদেরকে মাদকাসক্ত বানানোরও চেষ্টা করেছিল।
জানা গেছে, এমন কোনো প্রতারণা নাই যা সে করেনি। এমন কি দখল বাণিজ্যের জগতেও এরতেজার নাম আলোচিত আছে। আর সবই করছে সে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে। আর সাধারণ মানুষও তাকে ভয় পায়। কারণ, হাসিনা থেকে শুরু করে সরকারের এমন কোনো ব্যক্তি নাই যার সাথে সে ছবি তুলেনি। এসব ছবিকে কাজে লাগিয়ে সে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সাথে প্রতারণা ও বাটপারি করে আসছে।
সর্বশেষ আশিয়ান গ্রুপের জমির না টাকা না দিয়ে দলিল করার দায়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এরতেজার গ্রেফতারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সবখানে একই প্রশ্ন-শেখ হাসিনা কি তাহলে এখন প্রতারকদের আশ্রয়স্থল? তার আচলের নিচে আর কত প্রতারক আছে?
Discussion about this post