অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সম্প্রতি শেখ হাসিনার জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী, যিনি দেশের মানুষের কাছে দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে পরিচিত। রোববার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, জ্বালানি আমদানি করার মতো সামর্থ্য সরকারের নাই। প্রয়োজনে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তার কথা থেকে স্পষ্ট যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট কোন অবস্থায় দাড়িয়েছে।
দেশে বর্তমানে জ্বালানির সংকট এতটাই প্রকট হয়েছে যে, দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার চিন্তা করছে সরকার। এমনকি জ্বালানি আমদানি করার মতো ডলারও নাই সরকারের কাছে। আর বিদ্যুৎ-জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়া মানেই সরকারের দিন ফুরিয়ে যাওয়া। এখন সরকারের পতন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। শুধু তাই নয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতিতে মানুষ যেমন দিকহারা হয়ে পড়ছে তেমনি সরকারও সামাল দিতে হিমশিমখাচ্ছে।দ
অ্যানালাইসিস বিডির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বহু অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকার কথিত উন্নয়নের নামে একটা বেলুন ফুলিয়েছে। যেকোনো সময় সরকারের এই বেলুন ফুটুস হয়ে যেতে পারে। অ্যানালাইসিস বিডির সবগুলো প্রতিবেদন ধীরে ধীরে সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। যদিও আওয়ামী লীগের কিছু দালাল এসব প্রতিবেদনকে হাসিনার কথিত উন্নয়নের বাধা বলে সমালোচনা করেছিল। তারা এসব প্রতিবেদনকে সরকারের বিরুদ্ধে গুজব বলে চালিয়ে দিয়েছিল।
দুর্নীতি আর লুটপাট করার জন্য যে শেখ হাসিনা সারাদেশে শত শত কথিত উন্নয়নের সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছিল সেটা আর নতুন করে বলার কিছু নাই। সরকারের বর্তমান অবস্থানই প্রমাণ করছে যে, তারা দেশ থেকে কি পরিমাণ টাকা পাচার করেছে। দুর্নীতি আর লুটপাট না করলেতো সিঙ্গাপুর আর আমেরিকার মতো একটা দেশ হঠাৎ করে আফগানিস্তান হতে পারে না।
এখন প্রশ্ন হল-হাসিনা যে দেশকে আমেরিকা-ইউরোপ বানাতে চাচ্ছিল, সেই দেশে এখন জ্বালানি আমদানি করার মতো ডলার নাই কেন? আর হাসিনার শতভাগ বিদ্যুৎ এখন গেল কোথায়? বিদেশ থেকে ঋণ এনে এত বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা হল, সেইগুলোর বিদ্যুৎ কোথায়?
দেখা গেছে, কয়েক বছর ধরেই শেখ হাসিনা গলাবাজি করে আসছে যে, বিএনপি-জামায়াত দিয়েছিল খাম্বা, তিনি দিয়েছেন বিদ্যুৎ। ডাকঢোল পিটিয়ে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়ার উৎসবও করেছে। এখনতো মানুষের বিদ্যুতের অভাবে দিনে কাজ করতে পারছে আর রাতে ঘুমাতে পারছে না। হাসিনার এত বিদ্যুৎ গেল কয়?
রাজনীতি বিশ্লেষক ও সচেতন মানুষ মনে করছেন, জ্বালানির সাথে সাথে হাসিনার দিনও ফুরিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানির অভাবে যখন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে তখন আর বিএনপির আন্দোলন করা লাগবে না, হাসিনাকে এমনিতেই ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। এমনকি শ্রীলঙ্কার মতো যেকোনো সময় মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসতে পারে। তখন হাসিনার পক্ষে আর টিকে থাকা সম্ভব হবে না।
Discussion about this post