আহমেদ আফগানী
গত ৭ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুকে হারিয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন জামায়াত নেতা মাওলানা মো. কাজী হানিফ। মাওলানা মো. কাজী হানিফ চরপার্বতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির।
জনগণের নেতা মো. হানিফ চেয়ারম্যান হওয়ার পর এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। চরপার্বতীর মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট ফেনী নদীর ওপর সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন দুই পাড়ের মানুষের পারাপারের সমস্যা হচ্ছিল। দিনের পর দিন ভুক্তভোগী ছিল নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা কাজী হানিফ প্রশাসনের কাছে সাহায্য চেয়েও সমাধান পাননি, বরাদ্দ পাননি। তাই তিনি এলাকার জনগণের যাতায়াতের সুবিধার কথা চিন্তা করে সবার সহযোগিতা ও দলীয় ফান্ড নিয়ে গত কয়েক মাস আগে একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করেন। মানুষের চলাচলের একটি গতি হয়।
কিন্তু বিষয়টি মোটেও ভালভাবে নেয়নি গণবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপজেলার চরপার্বতী ছোট ফেনী নদীর উপর নির্মিত কাঠের ব্রীজ অপসারণের প্রস্তাবনা দেয় তারা। গতকাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের আয়োজনে মাসিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সভায় এ প্রস্তাবনা আসে।
শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারা এই ব্রীজ অপসারণে উঠেপড়ে লেগেছে এখন। কারণ ব্রীজটি জামায়াত নেতার নির্মাণ করা! কয়েকমাস পূর্বে নির্মান করা কাঠের ব্রীজ টি অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা এই কাঠের ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলবে। এই ব্রিজ করার দায়িত্ব ছিল তাদের। তারা তো সেটা করলোই না। জামায়াতের চেয়ারম্যান করেছে, মানুষের উপকার করেছে, এটাও তাদের সহ্য হচ্ছে না। এ যেন ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই।
Discussion about this post