অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ২০০৯ সালের এই দিনে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে পিলখানায় সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক ও মেধাবী ৫৭ জন অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মূলত ভারতকে খুশি করতেই শেখ হাসিনা নিজ দেশের চৌকুস সেনা অফিসারদেরকে পাশবিক কায়দায় হত্যা করেছিল।
বাংলাদেশে সামরিক অস্ত্র কম থাকলেও সেনাবাহিনী ছিল খুবই সুুসংগঠিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছিল অত্যন্ত দেশপ্রেমিক। তারা দেশের ও মানুষের জন্য জীবন বিলিয়ে দিতেও কখনো কুণ্ঠাবোধ করেনি। সাহসের দিক থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী অন্যদেশের বাহিনীর চেয়েও কোনোভাবেই কম ছিল না। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিডিআর বর্তমান নাম বিজিবির সদস্যরা ছিল খুবই সাহসী। যার কারণে রৌমারীতে ভারতের বিএসএফকে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছিল। রৌমারীর সেই প্রতিশোধ নিতেই শেখ হাসিনাকে দিয়ে পিলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করিয়েছিল ৫৭ সেনা অফিসারকে।
ভারত যদিও মুখে মুখে বাংলাদেশকে তাদের বন্ধু বলে, আসলে পৃথিবীতে বাংলাদেশের প্রধান শত্রু হল ভারত। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামরিক উত্থান ভারত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভারত কখনো ভাল চোখে দেখেনি। তাই দেশপ্রেমিক ও মেধাবী সেনা অফিসারদেরকে হত্যা করে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করাই ছিল ভারতের প্রধান টার্গেট।
এমনকি ভারত তাদের এই অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যই ফখরুদ্দিন ও মইনুদ্দিনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল ২০০৯ সালে।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ভারত বলেছে-তোমার বাবার হত্যাকাÐের সাথে সেনাবাহিনীর সদস্যরাই জড়িত ছিল। এখন তুমি যদি তাদের বিচার করে তাহলে সেনাবাহিনীর ভেতর থেকে আবার কিছু হতে পারে। তোমার বাবার মতো তোমাকেও তারা শেষ করে দিবে। নিরাপদে ক্ষমতায় থাকতে হলে আগে এদেরকে সাইজ কর তারপর বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িতদের ফাসিতে ঝুলিও। ভারতের এই কুপরামর্শেই শেখ হাসিনা সেদিন বাংলাদেশের ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করে।
Discussion about this post