চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বাংলাদেশের আপামর জনগণ কর্তৃক একমাত্র স্বীকৃতি সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীরা পারস্পরিক মারামারির ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে। যার জেরে কলেজ এবং হোস্টেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে এ ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেছেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম।
গতকাল তার দেয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এই দুঃখ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদও জানান।
তিনি বলেন, চমেক অধ্যক্ষ এবং একাডেমিক কাউন্সিলের কলেজ বন্ধের ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আপনারা সন্ত্রাসীদের ক্যাম্পাস ছাড়া করুন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নয়।
কর্তৃপক্ষের ওপর প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে শিবির সেক্রেটারি বলেন, সন্ত্রাসীদের অন্তঃকোন্দলের দায় সাধারণ ছাত্ররা নেবে কেন? অবিভাবকগণ সন্তানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে পড়াশোনার জন্য। পড়াশোনার পরিবেশ কি আজ আছে সেখানে! কতিপয় সন্ত্রাসীরা জ্ঞানার্জনের পবিত্র এসব স্থানকে নরকে পরিণত করেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হয়। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি সন্ধ্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন মাহফুজুল হক (২৩), নাইমুল ইসলাম (২০) ও আকিব হোসেন (২০)। তিনজনই চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় মেডিকেলের প্রধান ছাত্রাবাসে। সেখানে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীদের দুজনকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী পক্ষ মারধর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার জের ধরে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে মহিবুল হাসানের অনুসারী এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করা হয়। এরপর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপর থেকে কলেজ ক্যাম্পাস এবং প্রধান ছাত্র হোস্টেলজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
পাঠকের সুবিধার্থে তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো,
ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের পারস্পারিক বিরোধের দায় সাধারণ ছাত্ররা নেবে কেন (?)
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বাংলাদেশের আপামর জনগণ কর্তৃক একমাত্র স্বীকৃতি সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীরা পারস্পরিক মারামারির ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে। যার জেরে কলেজ এবং হোস্টেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
অবিভাবকগণ সন্তানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে পড়াশোনার জন্য। পড়াশোনার পরিবেশ কি আজ আছে সেখানে! কতিপয় সন্ত্রাসীরা জ্ঞানার্জনের পবিত্র এসব স্থানকে নরকে পরিণত করেছে।
চমেক অধ্যক্ষ এবং একাডেমিক কাউন্সিলের কলেজ বন্ধের ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আপনারা সন্ত্রাসীদের ক্যাম্পাস ছাড়া করুন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নয়। সন্ত্রাসীদের অন্তঃকোন্দলের দায় সাধারণ ছাত্ররা নেবে কেন?
Discussion about this post