• যোগাযোগ
বৃহস্পতিবার, মে ২৯, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

তালেবান শাসনে আফগানিস্তানের গ্রামীণ পরিবার খুশি

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
in Home Post, slide, আন্তর্জাতিক
তালেবান শাসনে আফগানিস্তানের গ্রামীণ পরিবার খুশি
Share on FacebookShare on Twitter

কাদা এবং মাটির তৈরি বাড়ির ভেতরটি ঠাণ্ডা, শান্ত এবং ঝকঝকে পরিষ্কার। শামসুল্লাহ অতিথিদের তার বাড়ির বৈঠকখানায় বসাচ্ছিলেন। তার ছোট বাচ্চা ছেলেটি তার পা আঁকড়ে অতিথিদের দিকে তাকিয়ে ছিল।

বৈঠকখানার মেঝের পুরোটা জুড়ে কার্পেট। তার ওপর চার দেয়ালে ঠেস দেওয়া মোটা মোটা সব কুশন। একেকটি কম করে হলেও দুই ফুট করে মোটা। ঘরের এক কোনে ছোট একটি কেবিনেটের ভেতর ছ-সাতটি নানা রঙের ছোট কাঁচের বোতল সাজানো।

গরীব একটি পরিবার। একসময় জিনিসপত্র, সম্পদ যা ছিল তা গত ২০ বছরের যুদ্ধে হয় লুট হয়েছে, না হয় ধ্বংস হয়েছে।

বাইরে কড়া রোদ এবং ধুলো থেকে ঘরের ভেতর ঢুকে যেন একটা শান্তি মিললো। বাড়িটি উঁচু মাটির দেয়াল দিয়ে ঘেরা। আশপাশের সব বাড়ির চেহারা একই রকম।

হেলমান্দ প্রদেশের মারজাহ নামে এই গ্রামটি গত ২০ বছরে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।

বাড়ির উঠানের একদিকে পাঁজা করে তুলো রাখা রয়েছে। বোঝাই যায় পাশের ক্ষেত থেকে সদ্য তুলে আনা।

শামসুল্লাহ বাড়ির ভেতর থেকে তার মা গোলিজুমাকে নিয়ে এলেন। জানালেন মায়ের বয়স ৬৫। লম্বা চাদর দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা। শুধু চোখের জায়গায় ছোট একটি অংশ ফাঁকা যাতে তিনি দেখতে পারেন। চাদরের ঐ ছোট ফাঁকা অংশটি দিয়ে ঐ নারীর চোখ এবং নাকের একটি অংশ আমি হঠাৎ হঠাৎ দেখতে পাচ্ছিলাম।

কিন্তু আপাদমস্তক চাদরে ঢাকা গোলিজুমা যখন তার জীবনের করুণ কাহিনী এবং কীভাবে গত ২০ বছরের যুদ্ধে তিনি তার চার ছেলেকে হারিয়েছেন তা বলতে শুরু করলেন তার কণ্ঠ ছিল জড়তাহীন, শক্ত। তার পাঁচ ছেলের মধ্যে শুধু সবচেয়ে ছোটটি বেঁচে আছেন। গোলিজুমা বললেন শামসুল্লার বয়স ২৪। চেহারা দেখে অবশ্য মনে হয় বয়স তার চেয়ে ১০ বছর বেশি।

আফগান নারী বলেন, গোলিজুমার সবচেয়ে বড় ছেলে জিয়া-উল হক মারা যায় ১১ বছর আগে। সে তালেবানের যোদ্ধা ছিল। আমার ছেলে তালেবানে যোগ দিয়েছিল কারণ সে মনে করতো আমেরিকানরা আফগানিস্তান এবং ইসলামকে ধ্বংস করতে চায়।

তার পরের তিন ছেলে মারা যায় ২০১৪ সালে, মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে। মেঝ ছেলে কুদরাতুল্লাহ মারা যায় এক বিমান হামলায়। তার পরের দুই ভাই হায়াতোল্লাহ এবং আমিনুল্লাহকে পুলিশ বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। শামসুল্লাহ জানান তার ঐ দুই ভাইকে জোর করে আফগান সেনাবাহিনীতে নাম লেখানো হয়েছিল। লড়াইয়ে তাদের মৃত্যু হতে সময় লাগেনি।

শামসুল্লাহ বলেন, পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার জন্যই হয়ত আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আপনি কখনো এক হাতে পাঁচটি তরমুজ ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন? আমার এখন সেই দশা, আমাকে সেটাই করতে হচ্ছে।

তার দায়িত্বগুলোর অন্যতম সবচেয়ে বড় ভাই তালেবান যোদ্ধা জিয়ার বিধবা স্ত্রীর দেখভাল। “আমি আমার ভাইদের অভাব খুব অনুভব করি,” বললেন শামসুল্লাহ।

আমার সবচেয়ে বড় ভাই যখন মারা যায় তার বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করেন আমার মেজ ভাই। যখন ঐ ভাই মারা যায় তখন পরের ভাইটি তাকে বিয়ে করেন। যখন আমার সেজ সেই ভাইটিও মারা যায় তখন তার পরের ভাই আমার বড় ভাবিকে বিয়ে করেন। সেই ভাইও যখন মারা গেল তখন তাকে বিয়ে করলাম আমি।

২০১০ সালে যখন প্রেসিডেন্ট ওবামা আফগানিস্তানে সেনা অভিযান জোরদার সিদ্ধান্ত নিলেন তার প্রথম ধাক্কা গিয়ে পড়ে হেলমান্দের এই মারজাহ এলাকায়।

আমেরিকানদের লক্ষ্য ছিল চরম চাপ তৈরি করে তালেবানকে আফগানিস্তান থেকে একবারে উৎখাত করে দেয়া যাতে কাবুলে সরকারের ওপর আর কোনো হুমকি না থাকে।

সে সময় আমেরিকান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া একটি প্রেস রিলিজের ভাষা ছিল এরকম তালেবানকে উৎখাত করতে পারলেই আফগানিস্তানের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে: ভালো স্কুল, ভালো হাসপাতাল এবং জমজমাট বাজার।

মারজায় তালেবান আদৌ তখন ছিল কি ছিল না তার তোয়াক্কা না করে বিদেশি সৈন্যরা যেভাবে বোমা আর গোলাবর্ষণ শুরু করে তাতে এলাকার তুলো আর আফিমের উর্বর ক্ষেত স্থানীয় মানুষগুলোর দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়।

তীব্র সেই সেনা অভিযান শুরুর তিন মাসের মাথায় আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা কম্যান্ডার জেনারেল স্টেনলি ম্যাক-ক্রিস্টাল মারজাহ এলাকাটিকে পাকস্থলীর একটি আলসার বা ঘায়ের সাথে তুলনা করেন যেটি থেকে সারাক্ষণ রক্তক্ষরণ হয়। তবে হেলমান্দের ঐ এলাকায় সেই অভিযান শেষ করার পরের ১০ বছরও সেখানে কিছুদিন পরপরই পশ্চিমা সৈন্যদের লড়াই করতে হয়েছে।

তারা আমাদের স্বামীদের, ভাইদের, ছেলেদের হত্যা করেছে
গত ২০ বছরে যেসব পশ্চিমা নেতা বলে গেছেন যে তারা আফগানিস্তানের ভালো চান তাদের ঘৃণা করেন গোলিজুমা।

আমি জানি না তারা কী ভাবতেন, কিন্তু তারা এই দেশটিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।

গত ২০ বছরে তৈরি নানা সুযোগ-অধিকার এখন হুমকিতে পড়ে গেছে বলে অনেক আফগান নারীর যে আতঙ্ক – তা নিয়ে তার ভাবনা কী? আমার এই প্রশ্নকে তিনি কোনো গুরুত্বই দিলেন না ।

গোলিজুমা বরঞ্চ বললেন, তারা (পশ্চিমারা ) যখন এখানে ছিল অসংখ্য মানুষ চরম দুর্ভোগ সহ্য করেছে। তারা আমাদের স্বামীদের, ভাইদের, আমাদের ছেলেদের হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, আমি তালেবানকে পছন্দ করি কারণ তারা ইসলামকে সম্মান করে। আমার মত নারীরা কাবুলের নারীদের মত নয়। তার কথা তারা এখন অনেক স্বস্তিতে যে লড়াই শেষ হয়েছে।

একটি প্রশ্ন এবং সন্দেহ অবশ্য ছিল যে মারজার ঐ নারী কি সত্যিই মন খুলে কথা বলছেন। কারণ তালেবানের মিডিয়া অফিসের শর্ত ছিল যে হেলমান্দে অবস্থানের সময় বিবিসি টিমের সাথে সবসময় সশস্ত্র একজন তালেবান সৈন্য থাকবে এবং মিডিয়া অফিসের অনুমোদিত একজন অনুবাদক থাকবে। ঐ দুজন না থাকলে অনেক মানুষ হয়তো তালেবানকে নিয়ে তাদের মনের কথা খুলে বলার সাহস পেত।

কিন্তু হেলমান্দের একটি গ্রামে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তিধর দেশগুলোর সামরিক তৎপরতা নিয়ে যে ক্ষোভ, নিজের চার সন্তানকে হারানো নিয়ে যে ক্রোধ গোলিজুমা প্রকাশ করেছেন তার সত্যতা নিয়ে আমার মনে কোনো প্রশ্ন ছিল না।

সুযোগ-সুবিধা সবই ছিল শহরে
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পরপরই আল কায়েদাকে ধ্বংস করতে এবং তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য তালেবানকে শায়েস্তা করতে আমেরিকা এবং তার পশ্চিমা কটি মিত্র দেশ আফগানিস্তানে হামলা চালায়। কিন্তু তারপর যা ঘটেছে তা বোঝা এবং তার পক্ষে যুক্তি খাড়া করা খুবই জটিল একটি বিষয়।

আফগানদের জীবনের মান উন্নত করার যুক্তিতে চালিয়ে যাওয়া সেই যুদ্ধ এমন রূপ নেয় যাতে জয়ী হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। গণতন্ত্রের মত উন্নয়নও বন্দুক দিয়ে অর্জন সম্ভব নয়।

আফগানিস্তানে দীর্ঘ যুদ্ধে পশ্চিমারা বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছে। শহুরে আফগানদের একটি প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা পেয়েছে এবং তাদের চিন্তা-চেতনা-জ্ঞানের প্রসার হয়েছে। কিন্তু সেসব সুযোগ সুবিধা গোলিজুমার পরিবারের মত গ্রামের নিরক্ষর মানুষদের কাছে কখনই পৌঁছেনি।

তালেবান যখন ১৯৯৬ সালে প্রথম আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে, তারা তাদের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক চিন্তাধারা জোর করে মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সিংহভাগ আফগান এখন নাইন-ইলেভেনের আগে তাদের দেশের সেই বাস্তবতা চোখে দেখেনি।

লশকর গা শহরে তরুণ তালেবান যোদ্ধারা বিবিসির ক্যামেরা দেখে তাদের মোবাইল ফোন পকেট থেকে বরে করে আমাদের ছবি তুলেছে। বিদেশিদের সাথে সেল্ফি তুলেছে তারা। অথচ ১৯৯৬ তে ক্ষমতা নিয়ে তালেবান ছবি তোলা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল।

সম্পর্কিত সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
Home Post

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?
Home Post

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫
নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • বিতর্কিত আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়ে লে. কর্নেল মুস্তাফিজের বিশ্লেষণ

    বিতর্কিত আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়ে লে. কর্নেল মুস্তাফিজের বিশ্লেষণ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ২৫০, আহত ১ হাজার ৫০০

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫
নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD