অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, সকল নাগরিকের আইনি নিরাপত্তা পাওয়া জন্মগত অধিকার। বছরের পর বছর ধরে নাগরিক অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বিরোধী মত দমনে ব্যস্ত রয়েছে।
আজ দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে `বাংলাদেশে গুমের মহড়া শেষ হবে কবে?‘ শিরোনামে তিনি এসব কথা লিখেন।
তিনি লিখেছেন, বেদনাদায়ক এই অধ্যায়ে হাজারো নাম ও হাজারো পরিবারের বুকফাটা কান্না জড়িয়ে আছে। কাঁদছেন মা, কাঁদছেন বাবা, চোখের পানি ঝরছে স্ত্রীর। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তির সন্তানের হৃদয়ের কান্না দেশের আকাশ-বাতাসকে ভারী করে তুলেছে। আপনজনেরা জানতেও পারছেন না গুম হওয়া ব্যক্তিটির অপরাধ কি। তারা কি জীবিত নাকি দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। কেউ কেউ এখন গুম হওয়া ব্যক্তির আশা ছেড়ে দিয়ে প্রিয়জনের কবরের সন্ধানে আছেন। কত বেদনাদায়ক এ বিষয়।
গুমের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা একটি বারও কি ভেবে দেখবে না, তারা কত বড় অপরাধ করছে? এ ধরনের গুমের ঘটনা শুধু বেদনাদায়ক নয়, দেশের সংবিধান বিরোধী, আইনের চরম পরিপন্থী ও নিঃসন্দেহে মানবতাবিরোধী অপরাধ।
সরকারের কাছে গুম হওয়া সকলের সন্ধান চেয়ে জামায়াত আমীর লিখেছেন, রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সকলের সন্ধান দিন, তাদেরকে ফিরিয়ে দিন এবং আপনজনদের অভিশাপকে ভয় করুন। মজলুমের অভিশাপ সরাসরি আল্লাহ্ তায়ালার কাছে পৌঁছে যায়। কেউ নির্দিষ্ট অপরাধ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। গুম করার অধিকার কারোরই নেই।
জামায়াত আমীরের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
বাংলাদেশে গুমের মহড়া শেষ হবে কবে??
সকল নাগরিকের আইনি নিরাপত্তা পাওয়া জন্মগত অধিকার। বছরের পর বছর ধরে নাগরিক অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বিরোধী মত দমনে ব্যস্ত রয়েছে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, উর্ধ্বতন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আল আযামী ও ব্যারিষ্টার আরমান থেকে শুরু করে তরুন ইসলামিক বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান পর্যন্ত এসে আপাতত পৌঁছেছে।
বেদনাদায়ক এই অধ্যায়ে হাজারো নাম ও হাজারো পরিবারের বুকফাটা কান্না জড়িয়ে আছে। কাঁদছেন মা, কাঁদছেন বাবা, চোখের পানি ঝরছে স্ত্রীর। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তির সন্তানের হৃদয়ের কান্না দেশের আকাশ-বাতাসকে ভারী করে তুলেছে। আপনজনেরা জানতেও পারছেন না গুম হওয়া ব্যক্তিটির অপরাধ কি। তারা কি জীবিত নাকি দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। কেউ কেউ এখন গুম হওয়া ব্যক্তির আশা ছেড়ে দিয়ে প্রিয়জনের কবরের সন্ধানে আছেন। কত বেদনাদায়ক এ বিষয়।
গুমের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা একটি বারও কি ভেবে দেখবে না, তারা কত বড় অপরাধ করছে? এ ধরনের গুমের ঘটনা শুধু বেদনাদায়ক নয়, দেশের সংবিধান বিরোধী, আইনের চরম পরিপন্থী ও নিঃসন্দেহে মানবতাবিরোধী অপরাধ।
রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সকলের সন্ধান দিন, তাদেরকে ফিরিয়ে দিন এবং আপনজনদের অভিশাপকে ভয় করুন। মজলুমের অভিশাপ সরাসরি আল্লাহ্ তায়ালার কাছে পৌঁছে যায়। কেউ নির্দিষ্ট অপরাধ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। গুম করার অধিকার কারোরই নেই।
Discussion about this post