অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
হেফাজতে ইসলাম এক সময় ছিল শেখ হাসিনা ও তার দলের কাছে মধুর হাড়ি। তাদেরকে গণভবনে ডেকে নিয়ে বিরিয়ানি খাইয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভা করে তাদের কাছ থেকে কওমী জননী উপাধি নিয়েছেন। তাদেরকে সনদ দিয়েছেন। অনুগত কিছু হেফাজত নেতাকে নগদ অর্থসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। এছাড়া কথায় কথায় হেফাজত নেতাদের কত উচ্চ প্রশংসা।
এখন প্রশ্ন হল-এই জঙ্গি, তালেবান, নাশকতাকারী, সন্ত্রাসী ও আইএসআই এর এজেন্ট আখ্যা দিয়ে তাদের সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বার বার বৈঠক করছেন কেন?
এছাড়া কথিত সহিংসতা, তাণ্ডব, নাশকতার নামে হেফাজতের সব কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা অপরাধী হয়ে থাকলে আদালতে বিচার হবে। সরকারের মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতারাও বলছেন-হেফাজতকে আর ছাড় দেবে না। ছাড় না দিলে প্রতিদিন তাদের সাথে বৈঠক কিসের?
জানা গেছে, মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের পরই হেফাজতের কয়েকজন শীর্ষনেতার সাথে রাতে অতি গোপনে নিজ বাসায় বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও পরবর্তীতে বৈঠকের বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে চলে আসে। তবে, গণমাধ্যমের কাছে তারা বৈঠকের আলোচনার বিষয় নিয়ে কিছুই বলেননি।
এরপর গত সোমবার রাতে হেফাজতের সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত মঈনুদ্দিন রুহি, মুফতি ফয়জুল্লাসহ আর কয়েক জনের সাথে অতিগোপনে নিজ বাসায় বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করতে ঢাকায় এসেছেন হাটহাজারী মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক। জানা গেছে রাতেই তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠক করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হেফাজত নেতাদের সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এসব বৈঠকের উদ্দেশ্য হল-হেফাজতের বর্তমান নেতৃত্বে যারা ছিলেন তাদেরকে শুধু হেফাজত থেকে নয়, কওমী অঙ্গনের সকল সংগঠন থেকে বাদ দেয়া। কওমী মাদরাসার অনুগত লোকদের দিয়ে হেফাজতের নতুন কমিটি গঠন করা।
Discussion about this post