অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সব ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের জুড়ি নেই। ভিন্নমত দমন থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করেও ক্ষ্যন্ত হয়নি অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা এই দলটি। সবশেষে এবার লেগেছে দেশের অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজত ইসলামের উপর।
মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকারামে সাধারণ মুসল্লিদের উপর নির্বিচারে গুলি ও হামলার ঘটনায় সারাদেশের মানুষ ফুঁসে ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সরাদেশে বিক্ষোভ করে হেফাজত ইসলামী। সেই বিক্ষোভেও নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের হামলা ও পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে নিহত হয় ২১ জন মুসল্লি।
এরপর দেশের পরিস্থিতি আরও অস্থিশিল হয়ে ওঠে। এই অস্থিশীল হওয়ার পেছনে হেফাজতকে দায়ী করে আসলেও অবশেষে বেরিয়ে এসেছে থলের বিড়াল। হেফাজতে ইসলামীর শান্তিপুর্ণ আন্দোলনের সময় সারাদেশে তাণ্ডব ছিল আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত। হেফাজতের মিছিলে মধ্যে ঢুকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আ.লীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করেছিল। যেটা এখন পুলিশের তদন্তেও বেরিয়ে আসছে।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় আবু তালেব নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার তিন ছেলে তাণ্ডবে জড়িত ছিল। পুলিশের করা একটি মামলায় ছোট ছেলে ইসমাইল হোসেনের নামও এসেছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
সেদিনের তাণ্ডবের একটি ভিডিও ফুটেজ এসেছে পুলিশের কাছে। ওই ভিডিও থেকে পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
আবু তালেব নামের ওই আওয়ামী লীগ নেতা স্থানীয় অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
গত ২৭ মার্চ বিকেলে উপজেলার অরুয়াইল এলাকায় মোদিবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেন সেখানকার হেফাজতকর্মীরা। পরে মিছিল থেকে অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায়। এতে থানার পরিদর্শকসহ (তদন্ত) ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে সরাইল থানা পুলিশ। এ মামলার এজাহার নামীয় ৩০ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবু তালেব মিয়ার ছোট ছেলে ইসমাইল হোসেন। তার আরও দুই ছেলে হাফেজ যাকারিয়া মাহমুদ ও ইউনুসের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ ক্যাম্পে হামলা মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে এখানকার আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু তালেব মিয়ার ছেলের নাম এ মামলার এজাহারে রয়েছে। আমরা তাকে গ্রেফতারে জন্য অভিযান চালাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা ভিডিও ফুটেজে দেখেছি ওনার দুই ছেলে মানুষকে নেতৃত্বে দিতে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, ওনার আরেক ছেলেও জড়িত ছিল। একটি ঘটনায় এক ছেলেকে আসামিও করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বাকিদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রাজনীতিক বিশ্লেষকবলছেন-সাম্প্রতিক তাণ্ডবে সবখানেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জড়িত ছিল। বিচার বিভাগীয় তদন্ত হলে-সব তাণ্ডবের সাথেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার প্রমাণ বেরিয়ে আসবে। শুধু তাই নয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও গুলোতেও ফুটে উঠেছে সেসব চিত্র।
Discussion about this post