অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সরকারের কথিত লকডাউন আর হেফাজত নেতা মামুনুল হকের ঘটনায় চাপা পড়ে গেল নারায়ণগঞ্জে লঞ্চ ডুবে ৩৫ জন মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা। এত বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটলেও এটা নিয়ে সরকারের কোনো মন্ত্রী-এমপি কথা বলছেন না। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে-বিষয়টিকে তারা মাটিচাপা দিতে চাচ্ছেন।
তারপর ফলাও করে প্রচার করছে না গণমাধ্যমগুলোও। কেন এত বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটলো? লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়া সেই কার্গো জাহাজটির মালিক কে? জাহাজটি কি অনুমোদন প্রাপ্ত? চালকের কি লাইসেন্স ছিল? এতগুলো মানুষ মারা যাওয়ার পরও মামলা হল না কেন? মালিককে এখনো গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? জাহাজটি কেন আটক করা হয়নি? সরকার এসব বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কেন? একটি পত্রিকা ছাড়া দেশের কোনো গণমাধ্যই এসব প্রশ্ন তুলছে না।
জানা গেছে, ডুবে যাওয়া এমএল সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়েছিল শেখ পরিবারের সন্তান বাগেরহাট-২ আসনের এমপি সাহরান নাসের তন্ময়ের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি এসকেএল-৩। জাহাজটি গত মার্চ মাসে মাত্র নিবন্ধন পেয়েছে। নৌপথে চলাচলের জন্য এখনো অনুমোদন পায়নি। ক্ষমতার প্রভাবে অনুমোদন ছাড়াই জাহাজটি চলাচল শুরু করে।
সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হল-এই জাহাজ চালানোর মতো যোগ্যতা সম্মপন্ন চালকও ছিল না। আইন অনুযায়ী- দেড় হাজার ব্রেক হর্স পাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনের জাহাজ চালানোর জন্য ইনল্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার অফিসার লাগে। সেখানে এমপি তন্ময় তার জাহাজের জন্য একজন প্রথম শ্রেণির মাস্টার নিয়োগ দিয়েছিল।
এই দুর্ঘটনার পর ডুবে যাওয়ার লঞ্চের মালিক আলাল হোসেন মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বরং একজন এস আই উল্টো তাকে আটক করার হুমকি দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটা ধামাচাপা দেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকেই চেষ্টা করা হচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই নৌথানা মামলা নেয়নি। আর এমপি সাহরান নাছের তন্ময় শেখ পরিবারের সন্তান হওয়ায় পুলিশও এনিয়ে কোনো তৎপরতা দেখাচ্ছে না।
Discussion about this post