অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ ফোরাম হল সম্পাদকদের সংগঠন। বাংলাদেশে ‘সম্পাদক পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন আছে। যেটার বর্তমান সভাপতি হলেন ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এবং সেক্রেটারি হলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদকদ নঈম নিজাম।
এই সম্পাদক পরিষদ মূলত আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবেই পরিচিত। বলা যায়-এই পরিষদটা একেবারেই দলকানা। ভিন্নমতের কোনো পত্রিকার সম্পাদক সরকারের হয়রানি-নির্যাতনের শিকার হলে সেটা নিয়ে তারা কখনো কথা বলবে না।
দেখা গেছে, দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী আবুল আসাদকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তার উপর নির্যাতন করা হয়েছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এই প্রবীণ সম্পাদককে যেভাবে মারধর ও অপমান করেছে তা নজিরবিহীন। বিভিন্ন চ্যানেলে ভিডিও ফুটেজ দেখে মানুষ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই সম্পাদক পরিষদের বিবেকে ধাক্কা লাগেনি।
তবে মজার বিষয় হলে-এত দালালি, তেলবাজি, তোষামোদী করেও শেখ হাসিনাকে খুশি রাখতে পারছে না এই সম্পাদক পরিষদ। বিশেষ করে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো পত্রিকা দুইটির সম্পাদককে শিক্ষা দেয়ার জন্য বিকল্প সম্পাদক ফোরাম নামে একটি সংগঠনের জন্ম দিয়েছে সরকার।
গত ৮ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
এই ফোরামের মূল হর্তাকর্তা হচ্ছেন- শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শেখ হাসিনার অনুগত গোলাম নাঈমুল ইসলাম খান, ভারতের এজেন্ট- শ্যামল দত্তসহ আওয়ামীপন্থী সব সম্পাদক এই ফোরামের সদস্য হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের তত্ত্বাবধানে এই সম্পাদক ফোরাম গঠন করা হয়েছে। এই সংগঠনটিকে প্রতিষ্টিত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার সবই করবে। সরকারের মূল টার্গেট হলো-বর্তমান সম্পাদক পরিষদকে কোনঠাসা করে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদককে শিক্ষা দেয়া।
জানা গেছে, মঙ্গলবার নবগঠিত এই সম্পাদক ফোরামের লোকজন শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবের কবরে ফুলে দিতে টঙ্গিপাড়া যাবেন।