অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আবারো বোমা নাটক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন শেখ হাসিনা। দেশে যখন দুর্নীতি, লুটপাট, দুর্ভিক্ষ, দুযোর্গের শিকার হয়ে মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে ঠিক তখনই মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গিকে সরকারের এসব ব্যর্থতা ধেকে সরাতে জঙ্গিদের মতো আত্মঘাতি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে আওয়ামী লীগ। যেগুলো বাস্তবায়ন করানো হয় সরকারের অনুগত র্যাব-পুলিশ দিয়ে।
বর্তমানে সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লুটপাট, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য, গরিবের ত্রাণ চুরি, করোনা ও বন্যা মোকাবেলায় সরকারের খামখেয়ালি ও উদীসনতায় দেশের মানুষ চরম বিপদের মধ্যে আছে। বিশেষ করে করোনা যেন সরকারের সব কাপড় খুলে দিয়েছে। বেরিয়ে গেছে হাসিনা সরকারের অপকর্ম ও ব্যর্থতার সব চিত্র। দেশের মানুষ শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে শুধু ধিক্কার দিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে নিতে আবারো জঙ্গি আর বোমা নাটক প্রকল্প নিয়ে মাঠে নামছেন শেখ হাসিনা।
বুধবার সকালে রাজধানীর পল্লবী থানার ভেতরে বোমা বিস্ফোরণে ৪ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালশী কবরস্থান এলাকা থেকে আটক করা হয় সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেনকে। এ সময় উদ্ধার করা হয় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি ও বিস্ফোরক ভর্তি ওজন যন্ত্র। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিস্ফোরিত হয় ওজনযন্ত্রটি। এতে আহত হন চার পুলিশসহ ৫ জন। পরে নিষ্ক্রিয় করা হয় দুটি বোমা।
এবার দেখা যাক, পুলিশ যাদেরকে গ্রেফতার করেছে তারা কি সত্যিকার অর্থেই এই বোমা সিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত? নাকি অন্যবারের মতো তাদেরকে দিয়ে বোমা নাটক সাজানোর জন্য পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে?
আটক এক তরুণের নাম হলো-শহীদুল। তার বাড়ি উত্তরার বাউনিয়ায়। তিনি তেতুলিয়া পরিবহনের একটি বাসের চালক। পুলিশের দাবি মঙ্গলবার রাতে অস্ত্রসহ তাকে মিরপুরের কালশী থেকে আটক করা হয়েছে।
অথচ, শহীদুলের বাবা, মা, ভাই ও তার স্ত্রী বলছেন, গত ২৭ জুলাই সোমবার দুপুর বেলায় প্রকাশ্যে চায়ের দোকান থেকে ডিবি পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে এসেছে। তাকে যে একটি কালো রঙের গাড়িতে তুলে নিয়ে এসেছে সিসিটিভির ফুটেজে সেই ভিডিও ধরা পড়েছে। শহীদুলের পরিবার এনিয়ে থানায় জিডি করেছেন এবং র্যাবের কাছেও অভিযোগ দিয়েছেন।
আর প্রক্ষ্যদর্শীরাও বলছেন-দিনেদুপুরে মানুষের সামনে থেকে ডিবি এসে শহীদুলকে তুলে নিয়ে গেছে।
আর শহীদুলের বাবা বলছেন-আমার ছেলেকে আটক করে নিয়ে গেছে। আটক ছেলে বোমা মারে কিভাবে? আমি দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই।
এরপর, থানার ভেতর পুলিশ আরও দুইটি বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিস্ক্রিয় করেছে। সেই দুইটি বোমা কিভাবে এলো সেই জবাবও দিতে পারেনি পুলিশ।
পল্লবী থানার ভেতর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা যে সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা এটা একেবারে পরিষ্কার। সচেতন মানুষ মনে করছেন। কয়েকদিন ধরেই সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন জঙ্গি জঙ্গি তসবিহ জপতেছে। দেশে নাকি হঠাৎ জঙ্গি হামলা হতে পারে। অবস্থার আলোকে মনে হচ্ছে সরকার সেই হামলার রিহার্সেল দিচ্ছে।