অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
অনিয়ম-প্রতারণার দায়ে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ হলেও গ্রেফতার হয়নি প্রতারক হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য মো. সাহেদ। চায়ের স্টল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অঙ্গন পর্যন্ত এখন সবার মুখে শুধু একটিই প্রশ্ন-সাহেদ কোথায়? এত বড় প্রতারণার পরও সরকার তাকে গ্রেফতার করছে না কেন? সাহেদ কি আসলেই গ্রেফতার হবে? নাকি ইজ্জত বাচাতে সরকার তাকে রাতের আধারে সীমান্তের উপারে পাঠিয়ে দেবে?
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলছেন, সাহেদকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। শিগগিরই তাকে গ্রেফতারের খবর দিতে পারবো।
আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এনিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সরকারের কঠোর সমালোচনা করছেন।
তবে একাধিক সূত্র থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিশ্ব বাটপার সাহেদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সে এখন র্যাবের হেফাজতে আছে। তার সঙ্গে এসব অপকর্মে আর কারা কারা জড়িত জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব এগুলো জানছে।
জানা গেছে, সরকারের লোকজন তার সঙ্গে রফাদফা করছে। সাহেদকে নিয়ে সরকার দুইটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রথমত: সরকার প্রথমে দেখবে তার সঙ্গে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কারা কারা জড়িত। যদি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম না আসে তাহলে সাহেদকে গ্রেফতার দেখাবে র্যাব। এবং আদালতে গিয়ে কি বক্তব্য দিতে হবে সেটাও বলে দেবে সাহেদকে। আদালতে গিয়ে সাহেদ সরকারের শেখানো বক্তব্যই দিতে হবে।
দ্বিতীয়ত: যদি দেখে যে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সাহেদের সঙ্গে জড়িত। সে মুখ খুললে সরকারের ভাবমুর্তি মারাত্মভাবে ক্ষুন্ন হতে পারে, তাহলে তাকে আর জনসম্মুখে আনা হবে না। রাতের আধারে সীমান্ত পার করে ওপারে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:
ক্যাসিনো থেকে রিজেন্ট কাণ্ড সুবিধাভোগী শতাধিক সাংবাদিক!
চাঁদাবাজিতে লিপ্ত অনেক সাংবাদিক, ক্যাসিনো সুবিধাভোগী শতাধিক
গণভবন পর্যন্ত ছিল প্রতারক শাহেদের ক্ষমতার জোর!
অনুমোদনহীন হাসপাতালে করোনা টেস্ট, ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে ধরা আ.লীগ নেতা