অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনার কারণে বয়স এবং অসুস্থতা বিবেচনা করে ৪০ জন এমপিকে সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে যোগ না দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু শরীরে প্রাণঘাতী করোনার উপসর্গ থাকার পরও এটাকে গোপন করে সংসদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ও গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত ১১ জুন জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ বৈঠক ও ১৫ জুন সংসদের অধিবেশনে সম্পূরক বাজেট পাশের দিন অংশ নিয়েছিলেন। আর তার করোনা আক্রান্তের খবর গণমাধ্যমে আসে ১৭ জুন।
জানা গেছে, গত ১৬ জুন করোনা টেস্টের জন্য তার নমুনা দেয়া হয়েছিল। পরে দিন ১৭ জুন পজেটিভ রিপোর্ট আসে।
যেদিন তিনি নমুনা দিয়েছেন পরীক্ষার জন্য এর আগের দিনও সংসদে যোগ দিয়েছিলেন। হিসাব মতে ১৫ তারিখ তিনি পুরোপুরিই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। করোনা নিয়েই তিনি সংসদে যোগ দিয়েছিলেন।
এদিকে, ১৫ জুন করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দিয়েছিলেন গণফোরামের এমপি মোকাব্বির খান। ১৬ জুন তার পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এর আগে তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে ১০ জুন সংসদে যোগ দিয়েছিলেন।
করোনা নিয়ে এই দুই মন্ত্রী-এমপির সংসদে যোগদানের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই এনিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়ে যায়। প্রাণঘাতী করোনা একটি অত্যান্ত ছোয়াছে রোগ। আক্রান্ত ও উপসর্গ থাকা লোকদেরকে ঘরের বাইরে যেতে সরকারের পক্ষ থেকে বার বার নিষেধ করা হচ্ছে।
কিন্তু সরকারের একজন মন্ত্রী ও এমপি তাদের শরীরে করোনার পুরোপুরি উপসর্গ থাকার পরও এটাকে গোপন করে সংসদে যোগ দিয়েছেন। এনিয়ে রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষও বিস্মিত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই এমপি-মন্ত্রীর করোনা আক্রান্তের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পরই সংসদে যোগ দেয়া মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের অনেকেই বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ও এমপি মোকাব্বির খানের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
জা