অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনার থাবায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন শেখ হাসিনার দুই বিশ্বস্ত চোর, দুর্নীতির বরপুত্র ও চরম ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ নাসিম ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ। তারা দুইজনই বাংলাদেশের রাজনীতি আলোচিত ও বিতর্কিত ছিলেন। মোহাম্মদ নাসিম মনসুর আলীর ছেলে হিসেবে এবং শেখ আব্দুল্লাহ গোপালগঞ্জের হিসেবে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে গেছেন।
তারা দুইজনই একই চিন্তা ও ধ্যান-ধারণার লোক ছিলেন। তাদের মনের একটি বাসনা ছিল-এদেশ থেকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিকে নিশ্চিহ্ন করা। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তাদের বক্তব্যের মূল বিষয় ছিল জামায়াত। তাদের দৃষ্টিতে জামায়াতই একমাত্র এদেশে সমস্যা। তাই যেভাবেই হোক না কেন জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতেই হবে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা চেষ্টা করে গেছেন।
মোহাম্মদ নাসিম দেশে চরম ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত গণবিচ্ছিন্ন বামপন্থীদেরকে জামায়াতের বিরুদ্ধে সংগঠিত করতেন। নাসিম শুধু নিজেই জামায়াতের বিরোধীতা করতেন না, বামপন্থীদেরকেও উস্কে দিতেন। শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ বসানোর পেছনেও নাসিমের হাত ছিল। কিন্তু নাসিমের সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। জামায়াত নির্মূলের আগেই করোনার থাবায় তিনি চলে গেলেন পরপারে।
তারপর, আরেক লেবাসধারী শয়তান ছিলেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ। শামীম আফজালকে দিয়ে সে ইসলামিক ফাউন্ডেশনটাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। তার মূল কাজ ছিল দেশে জামায়াত বিরোধী হিসেবে পরিচিত কতিপয় আলেম ও মাজাপূজারিদেরকে সংগঠিত করা। তাদেরকে দিয়ে তিনি জামায়াতের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার আজেই সবই করিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী কোনো ইসলামী দল না, জঙ্গিবাদের সঙ্গে দলটির সম্পর্ক আছে মর্মে কতিপয় আলেম ও মাজারপুজারিরা যেসব অপপ্রচার করেছে সবই ছিল শেখ আব্দুল্লাহর ইঙ্গিতে।
এমনকি দেশের বড় বড় আলেম-ওলামাদের তাফসীর মাহফিল বন্ধেও শেখ আব্দুল্লাহর হাত ছিল। জামায়াতের ক্ষতি করার জন্য ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের এমন কোনো পথ নেই যা শেখ আব্দুল্লাহ অবলম্বন করেনি। কিন্তু, জামায়াত নিশ্চিহ্নের সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। করোনার থাবায় আগেই চলে গেলেন।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে ছিলো জঙ্গীসম্পৃক্ততার অভিযোগ। বিভিন্ন সময় ইসলামের মৌলিক ইবাদাত গুলো নিয়ে কটুক্তি করেও সমালোচনায় এসেছেন বহুবার। অবশেষে চলেও গেলেন তারা।