অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে গেলেন চরম ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত কথিত মুক্তিযোদ্ধা ও বামপন্থী নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল। বাংলাদেশে যে কয়জন নষ্ট রাজনীতিবিদ ও ভারতের দালাল আছে তার মধ্যে বাদল ছিলেন অন্যতম। তার রাজনীতির মূল দর্শন ছিল কুরআন-হাদীস, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও আলেম-ওলামার বিরোধীতা করা। বিশেষ করে আলেম-ওলামাকে গালি না দিলে বাদলের পেটের ভাত হজম হতো না। সংসদ কিংবা বাইরে যেখানেই সুযোগ পেত সেখানেই তিনি ইসলামী দল ও আলেম-ওলামাকে গালি দিতেন।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বগুড়ায় একটি প্রকাশ্যে জনসভায় বাদল এদেশের আলেম-ওলামাকে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে সে কি কখনো ভেবেছিলো তার মৃত্যুর পর কে তাকে জানাযা পরাবে? সে তার মাকে জিজ্ঞাস করেছিলো যে, তার জন্মের পর কানের কাছে কে এসে আযান দিয়েছিল? যদি জিজ্ঞাস করতো যে, তার মা-বাবার বিয়েটা কে পড়িয়ে দিয়েছিল? তাহলে নিশ্চয় আলেমদেরকে গালি দেয়ার সাহস করতো না।
কথায় আছে-শয়তান চলে গেলেও নাকি অনুসারী রেখে যায়। বাদলও এমন এক শয়তান যে শেখ আব্দুল্লাহ নামে আরেক ধর্মবিদ্বেষীকে অনুসারী হিসেবে রেখে গেছে। যে এখন বাদলের খেলাফতের দায়িত্ব পালন করছেন।
শেখ আব্দুল্লাহ হলেন অবৈধ হাসিনা সরকারের ধর্মপ্রতিমন্ত্রী। গোপালগঞ্জের শেখ আব্দুল্লাহ মূলত একজন লেবাসধারী মুসলমান। শেখ হাসিনার মতো মুখে ইসলামের কথা বললেও তিনি একজন চরম ইসলাম বিদ্বেষী।
গত সপ্তাহে একটি সভায় তিনি প্রকাশ্যে আলেম-ওলামাকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তার এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। একটি মুসলিম দেশের ধর্মমন্ত্রীর মুখে এমন কথা শুনে মানুুষ স্তম্ভিত হয়ে গেছে। সবার একটিই প্রশ্ন-একজন ধর্মমন্ত্রী আলেমদেরকে নিয়ে এমন মন্তব্য করার সাহস পায় কিভাবে? অনেকেই বলছেন-তিনি হলেন আরেক বাদল। ধর্মবিদ্বেষী বাদল চলে গেলেও আব্দুল্লাহকে অনুরাসী হিসেবে রেখে গেছে।
এরপর, সমালোচনার মুখে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আব্দুল্লাহ রোববার তার বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন-আমি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরকে ইংগিত করে বলেছি। আলেম-ওলামাদেরকে বলিনি।
তার এই ব্যাখ্যা নিয়ে এখন আবার নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, জামায়াতের কোনো আলেম সরকারি খরচে আব্দুল্লাহর সঙ্গে হজ করতে যায়নি। যারা গেছে সবাই আব্দুল্লাহর অনুগত হিসেবেই পরিচিত। ফান্দে পড়ে এখন বাঁচার জন্য জামায়াত-শিবিরের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন।