অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ক্যাসিনো তথা জুয়া বিরোধী অভিযানের আড়ালে যে সরকার শেয়ারবাজার থেকে লাখো কোটি টাকা লুট, ব্যাংক ডাকাতি, বিদ্যুৎখাত লুট, লুটপাটের জন্য বার বার পদ্মাসেতুর বাজেট বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন প্রকল্প ও বিভিন্ন সেক্টর থেকে দুর্নীতি লুটপাটকে লুকাতে চাচ্ছে এটা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতিবাজদের ধরবে তো দূরের কথা শেখ হাসিনা এখন তার দলের প্রভাবশালী জুয়ারিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এর বাস্তব প্রমাণ হলো-বিসিবির দখলদার সভাপতি, দুর্নীতিবাজ ও আন্তর্জাতিক জুয়ারি নাজমুল হাসান পাপন।
সম্প্রতি পাপনের ক্যাসিনো খেলার ভিডিও ভাইরাল হলে এনিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশের সর্বত্রই এখন পাপনের ক্যাসিনো খেলা নিয়ে চলছে সমালোচনা। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। কিন্তু সরকার তাকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাপন বিদেশে গিয়ে ক্যাসিনো খেলেছেন। আমরা সবাইকে ধরবো না। সবাইকে ধরলে লাখ লাখ লোক ধরতে হবে।
অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাপন শুধু সিঙ্গাপুর গিয়েই ক্যাসিনো খেলেনি। তিনি বিসিবির পরিচালক আটক ক্যাসিনো লোকমানের ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিলেন। লোকমানের ক্যাসিনো ব্যবসা থেকে পাপন মাসে মাসে মোটা অংকের টাকা নিতেন। লোকমান গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি দায় এড়ানোর জন্য এখন ভিন্ন কথা বলছেন।
এরপর ইতিমধ্যে যারা ক্যাসিনো কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে তারা সবাই পাপনের মতো সিঙ্গাপুর গিয়ে ক্যাসিনো খেলতেন। তাদের সিঙ্গাপুর গিয়ে খেলা যদি অবৈধ হয় তাহলে পাপনেরটা বৈধ হয় কিভাবে? পাপনকে কেন গ্রেফতার করা হবে না?
জানা গেছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমানের ছেলে হওয়ার কারণে সরকার পাপনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর মাধ্যমেই বুঝা গেল যে, সরকারের কথিত দুর্নীতি অভিযান আসলে চুনোপুটিদের বিরুদ্ধে। দুর্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালদের ধরা আসলে সরকারের উদ্দেশ্য নয়।