অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারির ঘটনা নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নারী নেত্রীদেরকে বিভিন্ন পদপদবী দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদেরকে ভোগ করে আসছেন। বিশেষ করে ছাত্রলীগের নেত্রীদের কাছ থেকে তিনি এ সুবিধা বেশি নিয়ে থাকেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গণমাধ্যমে সংবাদ না আসলেও ইডেন কলেজের বহু মেয়েদেরকে ছাত্রলীগের পদপদবী দিয়ে তাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগের ছেলেরা এনিয়ে বিভিন্ন সময় ক্ষোভও প্রকাশ করেছে। যারাই কাদেরের বেড পার্টনার হতে পেরেছে তারাই ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছে।
এছাড়া এমন ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও। ঢাবির বিভিন্ন হলের সুন্দরী মেয়েদেরও পদ-পদবীর জন্য ওবায়দুল কাদেরের বিছানায় আসতে হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে দলের নারী নেত্রীদের এ ক্ষোভ নতুন কিছু নয়। গেলো বছরের ৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলিও অভিযোগ তুলে সরাসরি বলেছিলেন-সুন্দরী মেয়েদেরকে দেখে দেখেই পদ দেন কাদের। তার এমন্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেও বিস্ফোরণ ঘটেছিল।
তিনি লিখেছিলেন, “রাজনীতি বুঝুক না বুঝুক, সেক্সনীতি বুঝলেই বাপের বয়সী সাধারণ সম্পাদকের কোলে বসে ফুরতি করাটাই রাজনীতিতে পদবী পাওয়ার কাজ দেবে!
ফারহানা মিলির এই স্ট্যাটাসটি নিয়ে কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেলে তাকে দল থেকে দুইদিন পর ০৫ মার্চ বহিষ্কার করা হয়।
এখন সর্বশেষ বিস্ফোরণ ঘটালেন বগুড়ার এক আওয়ামী লীগ নেত্রী জলি শামীমা। পদপদবীর আশ্বাস দিয়ে তাকে ভোগ করে এখন কাদের এসব অস্বীকার করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।
রোববার রাতে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে জলি লিখেছেন, যে দলের জন্যে যৌবনের পুরো সময়টা শেষ করেছি সেই দলের ২য় সর্বোচ্চ একজন নেতা আমাকে ধোকা দিয় সব কেড়ে নিয়ে এখন সব অস্বীকার করবে। এটা মেনে নিয়েও দল করতে হবে? নেত্রীর কাছে বিচার আর যেন কোন মেয়ে কাদের সাহেবের দ্বারা নষ্ট না হয়।
তার এই স্ট্যাটাস নিয়ে এখন একেবারে তোলপাড়। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও এ নিয়ে চলছে তোলপাড়। মানুষ শুধু হাসি মশকরাই করছে না, এমন নোংরামির জন্য কাদেরের প্রতি চরম ক্ষোভও প্রকাশ করছে।
অনেকেই বলছেন, এটাই হলো আওয়ামী লীগের বাস্তব চরিত্র। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা করে প্রকাশ্যে আর আওয়ামী লীগ নেতারা করে গোপনে।
কেউ কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগের রেওয়াজ এটা। আওয়ামী লীগ ছাত্র লীগের নারী মদ নিয়ে ফুর্তি করার অভ্যাস কম বেশি সবারই আছে। এই যদি হয় তাদের আদর্শ -চরিত্র , তাহলে দেশে ইয়াবা, মদ, জেনা, ব্যভিচার ,খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচার তারা কিভাবে করবে। কারণ তারা নিজেরাই চরিত্রহীন ।
সচেতন সমাজ বলছেন, কাদেরের চরিত্র সম্পর্কে শেখ হাসিনারও জানা আছে। কিন্তু এরচেয়ে ভাল চরিত্রের মানুষ তার দলে না থাকার কারনে তাকেই দলটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেছে নিয়েছেন হাসিনা।