নিয়ম অনুযায়ী ৬ বছরের মধ্যে অনার্স শেষ করার কথা থাকলেও সাত বছরেও অনার্সের গণ্ডি পার হতে পারেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
একের পর এক বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন, তবে একে একে ব্যর্থ হয়েছেন পঞ্চমবারেও। নিয়মানুযায়ী ৮ বছরের মধ্যে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করার কথা। তা সত্ত্বেও সাত বছর পরেও সাদ্দাম এখনো আটকে আছেন তৃতীয় বর্ষেই। সম্প্রতি তৃতীয় বর্ষের প্রকাশিত ফলাফলেও অকৃতকার্য
হয়েছেন সাদ্দাম।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ২০১১-১২ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষ উত্তীর্ণ হতে তিনি ৩ বছর সময় নেন। অর্থাৎ ২০১১, ২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য থাকেন। চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালে প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে সাদ্দাম হোসেন প্রথম বর্ষ উত্তীর্ণ হন।
২০১৬ সালের দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি পাস করতে পারেননি। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৮ সালে তৃতীয় বর্ষে পদার্পন করেন। কিন্তু তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা যেটা গত জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে শুরু হয়েছিল সেই পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন। সর্বোপরি এই ছাত্রনেতা গত সাত বছরে তৃতীয় বর্ষ পার হতে পারেনি।
জানা গেছে, গত ২৭ মে প্রকাশিত আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সমাপনী পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় ১২৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ১২১ জন পরীক্ষায় পাস করেন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। প্রকাশিত ফলাফলে অকৃতকার্য হওয়ার কারণে সাদ্দাম হোসেনের নাম নেই।
সূত্র জানিয়েছে তৃতীয় বর্ষের মোট ৬টি কোর্সের পরীক্ষাতেই সাদ্দাম হোসেন অংশগ্রহণ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাবি সিন্ডিকেটের একটি আদেশ আছে আট বছরের বেশি কোন শিক্ষার্থী ঢাবির নিয়মিত ছাত্র হিসেবে অধ্যয়ন করতে পারবে না। এই ৮ বছরের ভেতর ৬ বছরের স্নাতক ও ২ বছর স্নাতোকোত্তর করতে হবে। কিন্তু সাদ্দাম হোসেন সাত বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের ছাত্র রয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবির আইন বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. নাইমা হক বলেন, যে ছাত্রের কথা বললেন তার রেকর্ড না দেখে কিছুই বলতে পারব না। আর অধ্যয়নের অনুমতির বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখে থাকে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত