রবিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৫
Analysis BD
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

২০ দলীয় জোট ভাঙ্গার নেপথ্য নায়ক যারা

মে ৮, ২০১৯
in Home Post, slide, বিশেষ অ্যানালাইসিস
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

১৯৯৯ সালের ৩০ নভেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ইসলাম, কুরআন-সুন্নাহ, গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী ভুমিকার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোটের সমন্বয়ে চারদলীয় ঐক্যজোট। চারদলীয় জোট আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে রাজপথে সফল আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের অষ্টম সংসদ নির্বাচনের আগে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর ফাঁদে পড়ে জোট ছেড়ে চলে যায় এরশাদের জাতীয় পার্টি।

তবে, এরশাদ চলে গেলেও জোট থেকে যান জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী ও দলটির প্রবীন রাজনীতিবিদ নাজিউর রহমান মঞ্জুর। নাজিউর রহমান মঞ্জুর মৃত্যুর পর বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি তথা বিজেপির হাল ধরেন তার পুত্র ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। সেই থেকে ২০১৯ সালের ৬ মে পর্যন্ত দলটি বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে ছিল। বিএনপির একটি হঠকারী সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে গত ৬ মে জোট থেকে বেরিয়ে গেলেন আন্দালিব রহমান পার্থ।

দেখা গেছে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট ভাঙ্গার জন্য বিভিন্নভাবে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র শুরু করে। আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটটি ভাঙ্গার জন্য সক্রিয়ভাবে মাঠে নামে।

এক্ষেত্রে সরকার বিএনিপর কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে একাজে ব্যবহার করে। বিশেষ করে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মইন খান, সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল মাহবুবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন নেতা। অন্যরা গোপনে তৎপরতা চালালেও জেনারেল মাহবুব এবং ড. মইন খান প্রকাশ্যে জামায়াত-শিবির বিরোধী বক্তব্য দিতে থাকনে। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথম যে জনসভা করেছিল সেখানে জেনারেল মাহবুব গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ্যে জামায়াত নিয়ে কটাক্ষ মন্তব্য করেছিলেন। এমনকি তার এ বক্তব্য নিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে পরে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতিও পাঠিয়েছিল।

এছাড়া, সরকার বিরোধী আন্দোলনের কারণে বিএনিপর অনেক সিনিয়র নেতাকে জেল খাটতে হয়েছে। নির্যাতন-হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু জেনারেল মাহবুব ছিলেন সব কিছু ধরা ছোয়ার বাইরে। অভিযোগ রয়েছে-তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেও মূলত গোপনে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করতেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেনারেল মাহবুবকে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে দেখা না গেলেও নেপথ্য থেকে তিনি জোট ভাঙ্গার কলকাঠি নেড়ে যাচ্ছেন। আর এক্ষেত্রে তিনি এখন কাজে লাগাচ্ছেন তারই শ্যালক ও বিএনিপ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। জেনারেল মাহবুবের স্ত্রী নাগিনা মাহবুব মির্জা ফখরুলের বোন।

জানা গেছে, জেনারেল মাহবুবের লবিং ও বিভিন্ন চাপের কারণে খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুলকে বিএনপির মহাসচিব পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এখানেও সরকারের বড় একটা পরিকল্পনা সফল হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেনারেল মাহবুবের সেই জোট ভাঙ্গার এজেন্ডা এখন মাঠে থেকে বাস্তবায়ন করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর এর প্রথম পদক্ষেপ ছিল ড. কামালের নেতৃত্বাধীন কথিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে শেখ হাসিনার অধীনেই সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া। মির্জা ফখরুল এখন যা কিছু করছেন সবই ড. কামালের পরামর্শে। ২০ দলীয় জোটের চেয়ে কথিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল। বলা যায়-ফখরুল এখন কামালের মুরীদ।

২০ দলীয় জোটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জোটের সিদ্ধান্ত ছিল বিএনপির এমপিরা শপথ নিয়ে সংসদে যাবেন না। কিন্তু মির্জা ফখরুল সেই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে তারেক রহমানকে ভুল বুঝিয়ে ৫ এমপিকে সংসদে পাঠিয়েছেন। যার কারণে, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল আন্দালিব রহমান পার্থের বিজেপি জোট থেকে বেরিয়ে গেছে। শুনা যাচ্ছে, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের লেবার পার্টি ও কর্নেল অলির এলডিপিও বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছে।

এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করার মতো, বিএনপি-জামায়াত জোট ভাঙ্গার জন্য শুধু আওয়ামী লীগই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করেনি। আন্তর্জাতিকভাবেও তারা চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক মহল থেকে জোট ভাঙ্গার জন্য অনেক চাপ দেয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। কিন্তু, খালেদা জিয়া কারো কথাকেই পাত্তা দেননি। অবশেষে খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করেই সরকার বিএনপি-জামায়াত জোটটিকে ভাঙ্গার কাজে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এ কাজে সরকারকে নেপথ্য থেকে জেনারেল মাহবুব ও মাঠ থেকে মির্জা ফখরুল সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষ মনে করছেন, খালেদা জিয়া যদি খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি না পান, তাহলে ২০ দলীয় জোট আর বেশি দিন থাকছে না। মির্জা ফখরুলরা যেভাবে কামালের দিকে ঝুঁকছেন তাতে ২০ দলীয় জোট এখন গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে। বিএনপির এই হঠকারীতার কারণে আরও কয়েকটি দল জোট থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। দেখা যাবে একদিন অন্যতম শরিক জামায়াতও বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিতে পারে।

সম্পর্কিত সংবাদ

Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

  • রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর: ১৫ বছর পরেও বেপরওয়া খুনিরা, সুবিচার পায়নি শহীদ পরিবার

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • Trademark Web based poker Crazy Expensive diamonds Gambling enterprise Video slot Genuine Imitation Financial

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে বাঙালি উচ্ছেদ ও ডি ইসলামাইজেশন করা হচ্ছে

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • Tagesordnungspunkt Spielbank Maklercourtage Ohne Einzahlung 2024

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫

© Analysis BD

No Result
View All Result

© Analysis BD