অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পরানো মুখোশ আর ধরে রাখতে পারলেন না কথিত জাতীয় ঐক্যের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। নিজ দলের প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক অবেশেষে দেশবাসীর সামনে ড. কামালের মুখের মুখোশটা খুলে দিলেন। ড. কামালকে যারা জাতীয় ঐক্য ও আস্থার প্রতীক বলে ধারণা করেছিলেন, আজ হয়তো বা তাদের মধ্যে হুঁশ ফিরে এসেছে। ড. কামাল যে আসলেই আওয়ামী লীগের এজেন্ট হয়ে কাজ করছে সেটা আজ দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার হয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর অ্যানালাইসিস বিডিতে একাধিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যে, ড. কামাল আসলে সরকারের হয়ে খেলছে। জাতীয় ঐক্যের নামে ড. কামাল মূলত বিএনপি থেকে জামায়াতকে দূরে সরিয়ে বিএনপিকে নিঃশেষ করার সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। সঙ্গে আছেন ভারতের আরেক এজেন্ট ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এরপর, সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানের শপথের পরও অ্যানালাইসিস বিডির আরেকটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কামালের ইশারাতেই তারা শপথ নিয়েছেন। কামাল তাদেরকে শপথ নেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে নীরব ভুমিকা পালন করেছেন। যদিও দেশবাসীকে দেখানোর জন্য সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানকে বেইমান বলে গালি দিয়েছেন। এসব ছিল ড. কামালের নাটক।
শপথ নেয়ার কারণে সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানকে গণফোরাম থেকে বহিস্কার করেছেন ড. কামাল। মোকাব্বির খানকে চেম্বার থেকে ঘাড় ধরে বেরও করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মোকাব্বির খানই শুক্রবার উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিলে। এনিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় ছিল- ড. কামাল যে এতদিন মুখোশ পরে রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছেন সেই মুখোশ খুলে দিয়েছেন তারই দলের প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক। তিনি বলেছেন- শপথের পর মোকাব্বির খান ফুল ও মিষ্টি নিয়ে কামালের বাসায় গিয়েছিলেন। কামাল তখন সেই ফুল ও মিষ্টি ফিরিয়ে দেননি। বরং সংসদে যাওয়ার জন্য মোকাব্বির খানকে নির্দেশ দিয়েছেন। কামালের এই দ্বিমুখি আচরণের জন্য দল থেকে পদত্যাগেরও ঘোষণা দিয়েছেন পথিক।
পথিকের এই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই ড. কামালকে নিয়ে মানুষের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন-কানাঘুষা। রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষ বলছেন- কামালের শরীরে মূলত আওয়ামী লীগের রক্ত। এই কামাল জাতীয় ঐক্য গঠন করে আওয়ামী লীগের পতন ঘটাবে এটা বিশ্বাস করা বোকামী। কামাল এতদিন যা করেছে সবই ছিল অভিনয়।
তাদের মতে- মির্জা ফখরুলরা যদি এখনো বুঝতে পারেন তাহলে বিএনপির জন্য অনেক ভাল হবে। অন্যথায় এই কামালের কারণে বিএনপির চালিকা শক্তি একদিন আওয়ামী লীগের হাতে চলে যাবে।