অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
রাজধানীর পূর্বাচলে ৩৭.৪৯ একর জমিতে একটি অত্যাধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্টেডিয়াম নির্মাণ বাস্তবায়ন করতে শনিবার প্রথম সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে বিসিবি কার্যালয়ে। আগামী দুই বছরের মধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান মাহবুব আনাম।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো- বিসিবি ইতিমধ্যে স্টেডিয়ামের একটি খসড়া নকশ তৈরি করেছে। যেটা ক্ষমতাসীন আ.লীগের নৌকার আদলে করা হয়েছে। এমনকি গত ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর এলে স্টেডিয়ামের এই নকশা উপস্থাপন করে বিসিবি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিসিবি সভাপতি ও ক্ষমতাসীন আ.লীগের এমপি নাজমুল হাসান পাপনের পরিকল্পনায় মূলত নৌকার আদলে এই নকশা তৈরি করা হয়েছে। এর পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইঙ্গিত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছে ছিল বঙ্গবন্ধুর নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ করা। কিন্তু তার নামে অন্য একটি স্টেডিয়াম থাকায় এটা তাদের দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে করার পরিকল্পনা করেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, নৌকার আদলে প্রাথমিক যে নকশাটি তৈরি করা হয়েছে সেটিই চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিসিবির এই ঘোষণার পরই এনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে এমন একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নকশা তৈরি করায় জনমনে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষ বলছেন, বিগত ১০ বছর ধরে জাতীয় নেতৃবৃন্দের নামে নামকরণ করা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম পরিবর্তন করে শেখ মুজিবের নামে নামকরণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা তার বাবাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সারাদেশে অহেতুক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করে শেখ মুজিবের নামে এগুলোর নামকরণ করছেন। শেখ হাসিনা নিজের নামে সারাদেশে শত শত প্রতিষ্ঠান করেছেন। এখন আবার রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকা খরচ করে তাদের দলীয় প্রতীক নৌকাকে প্রতিষ্ঠিত করার চক্রান্ত করছেন।
কেউ কেউ বলছেন, স্টেডিয়াম একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এটার নকশা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকের আদলে হবে কেন? বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন যদি ক্ষমতার প্রভাবে এটা করে যান তাহলে ভবিষ্যতে হিতেবিপরীত হতে পারে। আওয়ামী লীগ চিরদিন এদেশের ক্ষমতায় থাকবে না। সরকারের পরিবর্তন হবে। তখন হয়তো নৌকা মার্কা এই স্টেডিয়াম আর চলবে না। আওয়য়ামী লীগের নৌকা ডুবির সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়ামটাও ডুবে যেতে পারে।