অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
নারী কেলেঙ্কারিতে অবশেষে ফেঁসেই যাচ্ছেন আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। এবার তার নিজের চ্যানেলের সাংবাদিকরাই তার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। তার বিরুদ্ধে সংবাদও পরিবেশন হচ্ছে চ্যানেলটিতে। চ্যানেলটিতে যে এখন বুলবুলের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই সেটাই প্রমাণীত হচ্ছে। সাবেক মালিক আব্দুস সালামের কাছ থেকে একুশে টিভি দখলের পর আওয়ামী লীগ তাকেই টেলিভিশনটির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব দেয়। কিন্তু চ্যানেলটিকে তিনি নারী নিপীড়ণের আখড়ায় পরিণত করেছেন।
টিভি চ্যানেলটিতে বুলবুল ও তার সহযোগী সিকান্দার গংদের নারী যৌন নিপীড়ণের চিত্র প্রথম তুলে ধরেন চ্যানেলটির সাবেক জনপ্রিয় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। এরপর অ্যানালাইসিস বিডিতেও তার অপকর্মের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর যৌন নিপীড়ণের শিকার এক নারী মামলা করলে গত সোমবার চ্যানেলটির চিফ রিপোর্টার এম এম সিকান্দারকে গ্রেফতার করে র্যাব। তাকে পরবর্তীতে রিমান্ডেও নেয়া হয়।
একুশে টিভিতে কর্মরত নারীকর্মীদের ওপর যৌন নির্যাতনের মূল হোতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের বিরুদেধ একাট্টা হয়েছেন সাংবাদিকরা। তার গ্রেফতার দাবিতে মাঠে নেমেছেন সাংবাদিক সমাজ। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সেকান্দরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বুলবুলের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা। মানববন্ধনে নির্যাতন-হয়রানির শিকার একুশে টিভির এমন কয়েকজন নারী সাংবাদিকও বক্তব্য রাখেন। নারীদের সম্মান রক্ষায় বুলবুলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করেছেন।
এই মানববন্ধনের খবর ও বুলবুলের অপকর্মের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ব্ক্তব্য স্বয়ং বুলবুলেরই একুশে টিভিতে প্রকাশিত হয়েছে। একুশে টিভির সাংবাদিকরাও বুলবুল গংদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে বক্তব্য রেখেছেন।
মানববন্ধনে একজন সাংবাদিক বলেছেন, এটিএন বাংলায় থাকাকালীনও বুলবুল নারীকর্মীদের সঙ্গে এমন অপকর্ম করেছেন। তার অপকর্মের ভিডিও এমন জায়গায় পৌছেছে যা খুবই লজ্জাকর।
আরেকজন নারী সাংবাদিক বলেন, গ্রেফতারকৃত এম এম সেকান্দার নিজেও ফেসবুকে লিখেছে যে, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলকে সামনে রেখেই এবং তার সহযোগীতাতেই সে এসব অপকর্ম ও যৌন নিপীড়ণ করেছে।
এুদকে একুশে টিভির একটি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে চ্যানেলটিতে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। ঘটনাগুলো ফাঁস হওয়ায় বুলবুলের পক্ষের লোকজন এখন কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। বুলবুলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা মালিক পক্ষকে চাপ দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এখন যেকোনো মুহূর্তে বুলবুলকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘোষণাও আসতে পারে।