জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র চলতে পারে না যদি ফ্রি স্টাইলে লুটপাট চলতে থাকে।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অবশ্যই পুলিশের ভূমিকা আছে। সবাই চায় পুলিশ তার আইন মেনে দায়িত্ব পালন করুক। দেশের জনগণকে শ্রদ্ধা করুক, কারণ জনগণ ক্ষমতার মালিক।
রোববার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণফোরামের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সাইফউদ্দিন আহমেদ মানিকের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকার যদি নিজেকে জনগণের সরকার মনে করেন অবশ্যই বৈষম্য হ্রাস করবেন। কেউ দরিদ্র থাকবে আর কেউ সম্পদের পাহাড় গড়বে এটা তো স্বাধীনতার এত বছর পর কাম্য হতে পারে না।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা সফল হব।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনে বিতর্ক বা গলদ থাকলে সেখানে অবশ্যই সেখানে একটা বিতর্ক থাকে। জনগণ আশা করে সরকার সংবিধানের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। সংবিধানে যে কথাগুলি আছে। এখানে যারা আমাদের দেশ শাসন করবে তারা নির্বাচিত হতে হবে। তারাই কিন্তু দেশের মালিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি সবাইকে নাগরিক হিসাবে তার দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। তিনি এজন্য সবাইকে তার নাগরিক দায়িত্ব পালন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠা করার কাজে লেগে যেতে বলেন।
ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি অসাধারণ ত্যাগ স্বীকার করে। অনেক মূল্য দিয়েছি। নাগরিকদের সর্তকভাবে দায়িত্ব করতে হবে। যে সরকার বা যারাই এখানে দাযিত্ব নেবে তারা যেন সংবিধানে ভিত্তিতে দায়িত্ব নিক। সংবিধানে আছে দেশে গণতন্ত্র থাকবে। নামকাওয়াস্তে গণতন্ত্র না। জনগণের শাসক হিসাবে তিনি অবশ্যই চাইবো সুশাসন হোক। আইনের শাসন হোক।
স্মরণসভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ.ও.ম শফিক উল্লাহ, সাইদুর রহমান সাইদ, মোশতাক আহমদ, খান সিদ্দিকুর রহমান, সাইদুর রহমান সাইদ, রফিকুল ইসলাম পথিক, মিজানুর রহমান মিজান, অ্যাডভোকেট মো. জানে আলম, মুহম্মদ রওশন ইয়াজদানী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সূত্র: যুগান্তর