অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
অবশেষে ধরা খেলেন আওয়ামীপন্থী সাংবাদিকদের নেতা ও দখল করে নেয়া একুশে টেলিভিশনের সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। আব্দুস সালামকে জেলে ভরে একুশে টিভি দখলে নেয়ার পরই পুরনো সাংবাদিকদেরকে বের করে দিয়ে বুলবুল তার পছন্দের লোকদের নিয়োগ দেয় এখানে। কয়েকজন নারীকর্মীকে প্রথম থেকেই যৌন নির্যাতন করে আসছেন বুলবুল। চাকরি এবং মান সম্মানের কারণে বুলবুলের এসব যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেননি কেউ। কিন্তু একটি পর্যায়ে এসে বুলবুলের এসব অপকর্ম আর চাপা পড়ে থাকেনি। একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছেন টেলিভিশনটির নারীকর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুলবুলের ডাকা সাড়া না দিলেই নারীকর্মীদের ওপর শুরু হয় মানসিক নির্যাতন। তার নির্যাতন সইতে না পেরে অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে বুলবুলের এসব অপকর্ম নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন চ্যানেলটির সাবেক সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইন।
ভিডিওটিতে দেখা গেছে, নাম প্রকাশ না করে একজন উপস্থাপিকা বলছেন, আমরা কি এখানে দেহ বিক্রি করতে এসেছি? আমরা যারা এখানে কাজ করি প্রত্যেকে আওয়ামীলীগ সরকারকে সাপোর্ট করি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলবো- আপনি নারী সমাজের জন্য অনেক কিছু করেছেন। এই বুলবুলের হাত থেকে একুশে টিভির নারীকর্মীদেরকে রক্ষা করুন।
মিনালা দিবা নামে আরেকজন নারীকর্মী বলছেন-এখানে নিউজ এডিটর মঞ্জু এবং জাহিদও এসব করে। আর এগুলো শুধু একহাতে হ্যান্ডেল হয় না। বুলবুলসহ সবাই জড়িত।
গত ৫ জানুয়ারি চ্যানেলটির বর্তমান পরিচালক ও আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সুবহান গোলাপ এখানে আসলে সাংবাদিকরা অভিযোগ জানাতে তার সঙ্গে দেখা করতে চায়। কিন্তু তাদেরকে বাধা দেয় বুলবুলের সমর্থকরা। বুলবুলের ধারণা দেখা করতে পারলে তারা বুলবুলের সব অপকর্ম বলে দেবে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। বেকায়দা দেখে বুলবুল এসময় এখান থেকে সটকে পড়ে।