অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী প্রথম ধাপে সফল হয়েছেন। ভারত ও আওয়ামী লীগের প্রাথমিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা সফল হয়েছেন। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আনার পরিকল্পনা ছিল ভারত ও আওয়ামী লীগের। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে। পরবর্তীতে এর সঙ্গে যুক্ত করেছে কাদের সিদ্দিকীকেও।
এর আগেও অ্যানালাইসিস বিডির একাধিক প্রতিবেদন বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে, জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির ভেতর সরকারের এজেন্ট হয়ে কাজ করছে। খালেদা জিয়াকে ছাড়াই বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে সরকারের হয়ে কাজ করছে ডা. জাফরুল্লাহ। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, ডা. জাফরুল্লাহ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্টও বটে। ভারত ও আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জাফরুল্লাহ চৌধুরী খুবই সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। ছলেবলে কৌশলে একটি ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে তারা বিএনপিকে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
সরকারের আরেকটি পরিকল্পনা ছিল খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বিএনপি থেকে মাইনাস করে দলটিকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলা। শেখ হাসিনা তার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও মাঠে নামিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকেই। অবস্থার আলোকে মনে হচ্ছে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দল থেকে মাইনাসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ। ইতিমধ্যে তার কিছু আলামত পাওয়াও গেছে।
মঙ্গলবার রাতে সময় টিভির টকশোতে ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন, বিএনপির এই বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের জন্য তারেক রহমানকে দুই বছরের জন্য অবসরে যাওয়া দরকার। আর দলটির উচিত হবে দ্রুত কাউন্সিল করে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া। খালেদা জিয়া এমিরেটাস চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন।
এখানে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য একেবারেই পরিষ্কার যে তিনি আসলে কি বুঝাতে চাচ্ছেন। জাফরুল্লাহর কথা মতো একটি কাউন্সিল হয়ে গেলে কি হবে? খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দল থেকে বাদ পড়বেন। মানে সরকারের পরিকল্পনা সফল। আর মির্জা ফখরুল বিএনপির চেয়ারম্যান হবেন। ফখরুলের অতীত পরিচয় কি? তিনি বিএনপি করলেও মূলত তিনি বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী। মহাসচিবও হবেন তাদের পছন্দের কেউ। তখন জাতীয় পার্টির মতো বিএনপিও চলে যাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে। তখন বিএনপি নামক দলটির সব চাবিকাঠি থাকবে শেখ হাসিনার হাতে।