অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েকদিন ধরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, বিএনপি জামায়াত নির্বাচনে বড় ধরণের নাশকতা ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গোপন বৈঠক করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওবায়দুল কাদের। কিন্তু আওয়ামী লীগ হঠাৎ করে কেন এসব কথা বলছে? রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষের মনে এনিয়ে এখন নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তবে, অনুসন্ধানে ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরই চরম দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছে ক্ষমতা এবার হাতছাড়া হয়ে যাবে। এরপর থেকেই তারা নিজেরাই নির্বাচন বানচালের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বর সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে একটি গোপন বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদেরকে মাঠে নামাবে আওয়ামী লীগ। একটি পর্যায়ে তারা নিজেরাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর হামলা চালাবে। প্রয়োজনে লাশও ফেলবে তারা। পরে এসব হামলা ও হত্যাকাণ্ডের দায়ভার চাপাবে বিএনপি জামায়াতের ওপর।
এসব ঘটনার মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বুঝানোর চেষ্টা করবে যে, যারা এখনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর হামলা করতে পারে তারা ক্ষমতায় আসলে পরিস্থিতি কী হবে?
জানা গেছে, বিএনপি জামায়াতকে বেকায়দায় ফেলার জন্য যা যা করার দরকার আওয়ামী লীগ তাই করবে। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন বানচালও করে দিতে পারে তারা।