অ্যনালাইসিস বিডি ডেস্ক
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে ৫ ছাত্রকে তুলে নেওয়ার পর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদেরকে আদালতে তোলা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নিখোঁজদের পরিবার। তারা অতি শীগ্রই তাদের সন্তানদের সন্ধান দাবি করেছেন।
সোমবার রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশন মিলনায়তনে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে দাবী করা হয় গত ৩০ অক্টোবর রাতের বিভিন্ন সময় তাদের সন্তানদেরকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।
নিখোঁজ ৫ ছাত্র হলেন- তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী শাকির বিন হোসাইনকে (২৭) ও জহিরুল ইসলাম (২৮), ভাওয়াল কলেজের শিক্ষার্থী মো. রবিউল ইসলাম (২৫), ওমর ফারুক (২৫) ও আব্দুল্লাহ নোমান (২৫)।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৩০ অক্টোবর প্রথমে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী শাকির বিন হোসাইনকে (২৭) টঙ্গীর কলেজ গেইট থেকে এক দল সাদা পোশাকধারী লোক ডিবি পরিচয় দিয়ে সাদা মাইক্রবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একে একে জহিরুল, নোমান, রবিউল ও ওমর ফারুককে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
পরিবারগুলো জানায়, ‘তুলে নেয়ার পর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আমাদের সন্তানদের আদালতে তোলা হয়নি এবং গ্রেপ্তারের কথাও স্বীকার করছেনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি। তারা বলেন, তুলে নেয়ার পরপরই থানায় খোঁজখবর নেই কিন্তু তারা গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করে। পরের দিন ডিবি অফিসে খোঁজ নেই তারাও অস্বীকার করে।’
নিখোঁজের স্বজনরা জানান, ‘আমরা রাত দিন খোঁজাখুঁজি করছি, পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে মিনতি করেও ছেলের সন্ধান পাচ্ছি না। সন্তানদের জন্য পরিবারের মা-বাবারা এখন পাগল প্রায়। আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি আমাদের সন্তানরা পুলিশের কাছেই আছে। কিন্তু তারা অস্বীকার করছে।’
তারা বলেন, আমরা এখন নিরুপায় হয়ে আমাদের নিরপরাধ সন্তানদের সন্ধান পেতে জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজের দ্বারস্ত হয়েছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা দাবি করছি। আমাদের আকুল আবেদন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক তাদেরকে যেনো আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তারা যেন নির্যাতন বা বিচারবহির্ভূত কোনো জুলুমের শিকার না হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, পরিবারের সদস্যরা জানান তাদের সন্তানরা কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত না। এরপরও তারা যদি সত্যিই কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদেরকে আদালতে বিচারের সম্মুখীন করা হোক। আমরা আপনাদের মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে আমার সন্তানদের আইনের আশ্রয় পাবার অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। আমরা অসহায় পিতা মাতা হিসেবে সন্তানদের সন্ধান পেতে সহায়তার জন্য সাংবাদিক, প্রশাসন ও সর্বোপরি সংশ্লিষ্টদের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।