অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
হঠাৎ করেই গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। প্রতিদিনই তাদের বিরুদ্ধে জমি দখল আর মাছ ছুরির কথিত অভিযোগ তুলে মামলা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে এনিয়ে শুধু বিরুপ প্রতিক্রিয়াই সৃষ্টি হচ্ছে না, মানুষ এসব অভিযোগ ও মামলা নিয়ে হাসাহাসিও করছে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই নন, তিনি বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীও বটে। গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছেন। তিনি কখনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করেছেন, কারো জমি দখল করেছেন কিংবা কারো পুকুরের মাছ বা কারো গাছের ডাব চুরি করেছেন এমন সংবাদ কখনো শোনা যায়নি। কিন্তু, যখন থেকে তিনি সরকার বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলেন তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক চাঁদাবাজি, জমিদখল ও চুরির মামলা হতে থাকলো।
সর্বশেষ শুক্রবার সকালে, সাভারে এক আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরও চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা।
এরপর, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন শুধু একজন খ্যাতিমান আইনজীবীই নন। তিনি একসময় প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যও ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যাকে শ্রদ্ধা করতেন সেই মানিক মিয়ার ছেলে তিনি। একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রকাশক ও সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টাও ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তিনি যখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলেন তখন থেকেই তিনি খারাপ হয়ে গেলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। কথিত সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলায় সরকার এটাকে কাজে লাগিয়ে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা করে যাচ্ছে।
এখন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তিনি ময়মনসিংহে মানুষের জায়গা দখল করে বিলাস বহুল বাড়ি ও বাগান করেছেন। সরকারের সুবিধাভোগী মুজ্জাম্মেল বাবুর ৭১টিভি শুক্রবার সারাদিনই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে জমিদখলের সংবাদ প্রচার করেছে। ব্যারিস্টার মইনুলের জমি দখলের অভিযোগ আগে কখনো শুনা যায়নি। তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছেন তখনই তার বিরুদ্ধে কথিত অভিযোগ তুলছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে এসব কথিত অভিযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে চাপা ক্ষোপ বিরাজ করছে।
রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষ মনে করছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে দুর্বল করতেই সরকার দুই নেতার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে মামলা করছে। আওয়ামী লীগের দর্শন হলো-তাদের সঙ্গে থাকলে সঙ্গী আর চলে গেলে জঙ্গী। ডা. জাফরুল্লাহ ও মইনুল আজ তাদের দু:শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তারা শত্রু হয়ে গেছেন।