অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
মাসুদা ভাট্টি নামে কথিত এক নারী সাংবাদিককে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করায় এনিয়ে এখন দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ সাথে আদালতে মামলা। দেখা যাচ্ছে এমন সব নারীরা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, খ্যাতিমান আইনজীবী ও ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে, যাদের চরিত্র নিয়ে সত্য সত্য জনমনে নানা কথা চাউর রয়েছে।
আর মাসুদা ভাট্টি নামে কথিত সাংবাদিক দীর্ঘদিন থেকেই প্রবাসে বসে এদেশের মুসলমান ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছে। জনকণ্ঠ পত্রিকায় এই মাসুদা ভাট্টি যা খুশি তাই লিখে যাচ্ছে। মূল ধারার কোনো গণমাধ্যম মাসুদ ভাট্টি নামে কথিত সাংবাদিকের লেখা কখনো প্রকাশ করেনি। আর বর্তমানে মাসুদা ভাট্টিদের মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলানিউজ, বাংলাট্রিবিউন, আমাদের সময়ডটকম ও ঢাকাটাইমসের মতো কিছু অনলাইন দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর টার্গেট নিয়েই কথিত সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির লেখা প্রকাশ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাসুদা ভাট্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যক্তিগত পর্যায়েও রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আওয়ামী লীগও তাকে সকল প্রকার সুযোগ সবিধা দিচ্ছে। মাসুদা ভাট্টির মূল টার্গেট হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যবহার করে এদেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা। ভাট্টিদের দৃষ্টিতে যারা আওয়ামী লীগ করেনা তারা সবাই স্বাধীনতা বিরোধী। এমনকি আওয়ামী লীগ না করার কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও তারা আজ স্বাধীনতা বিরোধী বলতে দ্বিধা করছে না।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এদেশের কোনো অপরিচিত লোক নন। বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত সেই মানিক মিয়ার ছেলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। অথচ দেশের মানুষের ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ায় কথিত সাংবাদিক ভাট্টি ব্যারিস্টার মইনুলকে বলছেন জামায়াতের প্রতিনিধি। ব্যারিস্টার মইনুল ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে চরিত্রহীন বলেছেন। এই কথায় নাকি ভাট্টি মনে বড় কষ্ট পেয়েছেন। তার মনে কষ্ট দূর করার জন্য মইনুল হোসেন দু:খ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তাতেও ভাট্টি সন্তুষ্ট নয়। আদালতে গিয়ে মামলা করেছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ব্যারিস্টার মইনুলের দু:খ প্রকাশের পর নারী নেত্রীরা এনিয়ে আন্দোলন বা আদালতে যেতে চাচ্ছিল না। কিন্তু, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সরকার বিরোধী ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ায় তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যেতে নারী সংগঠনগুলোকে উস্কে দিচ্ছে সরকার। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দিতে মাসুদা ভাট্টিকে ইন্ধন দিয়েছেন। মূলত কাদেরের ইন্ধনেই মাসুদা ভাট্টি ঢাকার সিএমএম কোর্টে এবং জামালপুরে এক যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে। কারণ, গত শনিবার প্রকাশ্যে ওবায়দুল কাদের নারী সংগঠনগুলোকে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জানা গেছে, মাসুদা ভাট্টির ইস্যুটিকে সরকার এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ওপর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে বিএনপি ও ড. কামালের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ায় ব্যারিস্টার মইনুলের ওপর তাদের ক্ষোভ আরও বেড়ে গেছে। তাই, মইনুলকে কোনঠাসা করতে সরকার এখন মাসুদা ভাট্টির ইস্যুটিকে কাজে লাগাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও মামলা হতে পারে।
এ ছাড়া, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন, আসম রব, মাহদুদুর রহমান মান্নাসহ বিএনপি নেতাদেরকেও সাইজ করতে সরকার নতুন নতুন ঘটনার জন্ম দিতে পারে।