জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অস্থিরতা বাড়ার আশঙ্কায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর তীব্র নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সরকার। শুক্রবার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এক বিবৃতে এ কথা বলা হয়।
এইচআরডব্লিউর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন কঠোর আইন ও নীতি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সাংবাদিক, ইন্টারনেটে মন্তব্যকারী ও সম্প্রচারকারীদের লক্ষ্যবস্তু করে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গোপনীয়তা ও মতপ্রকাশের ওপর কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করায় বিরোধী দলগুলো ও স্বাধীন পর্যবেক্ষকেরা ভীতির মধ্যে রয়েছেন। নির্বাচনকালীন সরকারের সমালোচনা ও মতপ্রকাশ সীমিত করার চেষ্টা চলছে।
সরকার দাবি করছে, এসব প্রচেষ্টা ক্ষতিকর গুজব, মিথ্যা তথ্য অথবা আপত্তিকর কনটেন্ট ছড়াতে ভূমিকা রাখে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
সংস্থাটির এশিয়ার পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, প্রতিপক্ষ ও সমালোচকদের থামিয়ে দিতে জনসাধারণের নিরাপত্তা ইস্যুকে ব্যবহার করছে বাংলাদেশ। নির্বাচনের আগে সরকারের এই নজরদারি গোপনীয়তা ও মতপ্রকাশের অধিকার লঙ্ঘন করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ২ কোটি ২৮ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছেন। যেহেতু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন প্রভাবশালী। ফলে মতপ্রকাশ ও সংগঠিত প্রতিবাদের জন্য ফেসবুককে প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর এ জন্য বিভিন্ন ইন্টারনেটভিত্তিক সম্প্রদায় ও প্ল্যাটফর্মের ওপর নজরদারি করছে কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের সমালোচনা করায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র: প্রথম আলো