অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামায়াতসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি করার লক্ষ্যে তালিকা তৈরি করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। এই তালিকা তৈরিতে তারা ব্যবহার করছে পুলিশ বাহিনীকে। সরকারের নির্দেশে থানায় থানায় সক্রিয় বিরোধী নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করছে পুলিশ।
পল্টন থানা পুলিশ কর্তৃক সেখানকার বিরোধী নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরির এমন তিনটি ফরম অ্যানালাইসিস বিডির হাতে এসে পৌঁছেছে। ফরমগুলোর একটিতে লেখা রয়েছে পল্টন থানা বিএনপি নেতাকর্মীর নামের তালিকা, আরেকটিতে লেখা রয়েছে পল্টন থানা জামায়াতে ইসলামি নেতাকর্মীর নামের তালিকা এবং অন্যটিতে লেখা রয়েছে মাঠ পর্যায়ের একটিভিষ্ট তালিকা।
দেশের সব থানাতেই এমন তালিকা নিয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনকে উপলক্ষ করে বিএনপি জামায়াত যাতে কোনো সক্রিয় আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে সেজন্যই পুলিশকে দিয়ে সক্রিয় নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি তাদেরকে মামলা গ্রেফতার হয়রানি করার পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
এদিকে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নে থানায় থানায় পুলিশ দিয়ে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সচেতন মানুষ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পুলিশের কাজ থানার অপরাধী সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করা। কিন্তু সেই কাজ বাদ দিয়ে তারা দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। আওয়ামী লীগ সরকার সব বাহিনীকে নিজেদের ক্ষমতায় থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। বাহিনীগুলোকে তারা নিজেদের অঙ্গসংগঠনে পরিণত করেছে। এটা একটি দেশের জন্য অসনি সংকেত।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতার গত ১০ বছরে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর এক প্রকার স্টীম রোলার চালানো হয়েছে। কোনো আন্দোলন বা সভা সমাবেশই তাদেরকে ঠিকমত করতে দেয়া হয়নি। রাস্তায় নামলেই গুলি চালিয়েছে পুলিশ র্যাব বিজিবি। সর্বশেষ বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এক নিয়ন্ত্রিত ও কলঙ্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতা করায়ত্ব করে আওয়ামী লীগ। প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর উপর ভর করে তারা ৫ বছর অতিবাহিত করেছে। একাদশ নির্বাচনও নিজেদের অধিনে নিয়ন্ত্রিতভাবে করার সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশকে দিয়ে থানায় থানায় বিরোধী দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করছে।