নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ভুগছে আতঙ্কে। নানা শঙ্কায় তাদের দিন কাটছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে প্রকাশিত পুলিশের বক্তব্য থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রায় ১২০০ অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছে ঢাকা মেট্ট্রোপলিটন পুলিশ। আর সেইসব অ্যাকাউন্টধারীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে।
হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাংলাদেশের রাজধানী টানা ৯ দিন অচল হয়ে ছিল। বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়। পরে তা দুর্নীতি ও সরকারের দায়মুক্তির বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভে রূপ নেয়।
গত দু’দিনে আন্দোলন স্তিমিত হয়েছে। এখন অনেক শিক্ষার্থী সরকারের প্রতিশোধ আতঙ্কে ভুগছে। যে বিষয়টিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো ভিন্নমতের প্রতি সরকারের ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শিক্ষার্থীরা যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সংগঠিত হয়েছে ও আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছে, সেটাই বাংলাদেশের ডিজিটাল যোগাযোগ আইনের অধীনে ডজন ডজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করার জন্য সরকারের কাছে সাক্ষ্য দিতে পারে।
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছে আমারা তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা রাজনৈতিক নেতা, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, তারা প্রায় ১ হাজার ২০০ অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছেন, যেগুলো গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা ও অস্থিরতা উস্কে দেয়ার জন্যে ব্যবহার করা হয়েছে। পুরো কাজ শেষ করতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ১০-১২ জনের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছি যারা আন্দোলনের সময় ফেসবুক লাইভে এসে গুজব ছড়িয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র: মানবজমিন